সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত পর্বে শাসকদলের বিরুদ্ধে অশান্তি বাধানোর অভিযোগ উঠেছিল৷ বিরোধীদের দাবি ছিল সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে তাদের ভরাডুবি হত না৷ কিন্তু মহেশতলায় উঠে এল অন্য ছবি৷ বিধানসভা কেন্দ্রটির উপনির্বাচনে ছিল না কোনও রক্তপাত, হিংসার ছবি৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় হয় নির্বাচন৷ এবং শেষ হাসি হাসে তৃণমূলই৷ এরপরই দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বললেন, মহেশতলা প্রমাণ করে দিল বাহিনী দিয়ে ভোট হয় না৷ শেষ কথা বলে মানুষের সমর্থনই৷
[ বনধে শুনশান পুরুলিয়ার বলরামপুর, বিজেপি কর্মী খুনের প্রতিবাদে সরব অমিত শাহ ]
দেশের একাধিক বিধানসভা ও লোকসভা কেন্দ্রে ভরাডুবি কেন্দ্রীয় শাসকদল বিজেপির৷ ঠিক তার উলটো ছবি পশ্চিমবঙ্গে৷ এখানে শাসকের প্রতিই আস্থা রেখেছেন মহেশতলার মানুষ৷ শুধু আস্থাই নয়, তৃণমূলের ভোট বেড়েওছে৷ অথচ বিরোধীরা বরাবর অভিযোগ করেছে শাসকদল সুষ্ঠু ভোট করতে দেয় না৷ এদিন সে অভিযোগ খারিজ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বললেন, “আসলে ওরা নির্বাচনকে ভয় পায়৷ কারণ নির্বাচনে মুখোমুখি হতে গেলে যে সংগ্রামের ইতিহাস, মানুষের জন্য লড়াইয়ের ইতিহাস দরকার, তা তো ওদের নেই৷ সেগুলো বাদ দিয়ে বাকি সবকিছুই করেছে, কী করে নির্বাচনকে কলুষিত করা যায়, মানুষের অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করা যায়, তার চেষ্টা করেছে বারবার৷ এই উপনির্বাচন প্রমাণ করল, এটা মানুষের জয়৷ সাম্প্রদায়িকতা শক্তির বিরুদ্ধে সংহতির জয়, মৈত্রীর জয়৷ সর্বোপরি মিথ্যাচার, তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি যারা কুৎসা করেছে তাদেরকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন মহেশতলার নাগরিকরা৷ আমরা তাঁদের ধন্যবাদ জানাই৷ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি৷”
[ মহেশতলা দখলেই রাখল তৃণমূল, সিপিএমকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় বিজেপি ]
পঞ্চায়েত নিয়ে বিরোধীদের এদিন খোঁচা দিতেও ছাড়লেন না পার্থবাবু৷ বললেন, “কেউ কেউ পঞ্চায়েত নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন, সেসব এখনও কানে বাজে৷ একটা জিনিস তো পরিষ্কার ভোট হলেও হার, না হলেও হার৷ জনগণের ইচ্ছাই শেষ কথা৷ বাহিনী দিয়ে ভোট হয় না, বাংলার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ভোট করাতে হয়৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নেই তাই আবার আস্থা রেখেছে জনগণ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী বা অন্য কোনও বাহিনী যে বড় বিষয় নয় তা দেখা গেল৷ বিষয় হচ্ছে ভোটাররা৷ সেখানে আধা সামরিক না সিভিক ভলান্টিয়ার থাকল সেটা বড় কথা নয়৷”
দেশের একাধিক লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্রে হার হয়েছে বিজেপির৷ ১৪ আসনের মধ্যে মোটে তিনটি আসন পকেটে পুরেছে গেরুয়া শিবির৷ বাকি আসন হয় এককভাবে দখল করেছে বিরোধীরা, নয় জোট গড়ে৷ সেই ঘটনাকে উল্লেখ করে পার্থ জানালেন, “একের বিরুদ্ধে এক লড়াই হলে উনিশে বিজেপি ফিনিশ৷ আজ দেশের একাধিক রাজ্যে তা প্রমাণিত হয়েছে৷”
[ বিজেপি-বজরং দলের সংঘর্ষেই মৃত্যু পুরুলিয়ার কর্মীর, জানালেন অভিষেক ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.