রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ২০২১ সালে বাংলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল সরকারকে লম্বা সময়ের জন্য কোয়ারেন্টাইনে পাঠাবে। এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। শুক্রবার উত্তরবঙ্গ জোনের জন্য রাজ্য বিজেপির তৃতীয় ভারচুয়াল সভায় দিল্লিতে দলের সদর দপ্তর থেকে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী। তিনি ছাড়াও দিল্লির দলীয় কার্যালয়ে ছিলেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত ও দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। অন্যদিকে কলকাতায় রাজ্য বিজেপি দপ্তরের ভারচুয়াল সভা মঞ্চে ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও রাজ্য নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার, তুষারকান্তি ঘোষ।
এদিন, ভারচুয়াল সভার প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান মোদি সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন। জনধন যোজনা থেকে শুরু করে এলপিজি সংযোগ- এ সব কিছুরই উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, জনধন যোজনায় বাংলার মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন। আবার উজ্জ্বলা যোজনার সুফলও যে বাংলার মহিলারা পেয়েছে, সেই পরিসংখ্যান দিয়ে তুলে ধরেন। পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে অমানবিক ব্যবহার করেছে তৃণমূল সরকার। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে কেন টালবাহানা করছিল রাজ্য সরকার, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন তিনি।
[ আরও পড়ুন: স্বামীর ‘কুকীর্তি’র শাস্তি, দল থেকে বহিষ্কৃত বাগনানের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যাও ]
করোনার সময় চাল ও আমফানের ত্রাণের টাকা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির উন্নয়নই নরেন্দ্র মোদির প্রধান লক্ষ্য বলে জানান তিনি। ধর্মেন্দ্র প্রধানের বক্তব্য, উত্তরবঙ্গে আশানুরূপ উন্নয়ন হয়নি। নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশের লজিস্টিক কেন্দ্র হতে পারে শিলিগুড়ি, দার্জিলিং। এদিন, ভার্চুয়াল সভায় সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তর বক্তব্য, বিজেপি কর্মীদের উপর লাগাতার আক্রমণ হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে খুব দুর্গম লড়াই। নেতা-কর্মীদের মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তৃণমূল রক্তের রাজনীতি করছে বাংলায়।