দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ৩২ জন ছাত্রীর সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা। কন্যাশ্রী (Kanyashree) প্রকল্পের প্রায় ৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে শ্রীঘরে বাবা এবং ছেলে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের মজিলপুর শ্যামসুন্দর বালিকা বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড়। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক।
প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস করেন মজিলপুর শ্যামসুন্দর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্বাগতা মণ্ডল। তিনি ২০১৯ সালে ৩০ জুলাই প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে ওই স্কুলে যোগদান করেন। তার আগে থেকেই অবশ্য অভিযুক্ত সন্দীপ রায় ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে ওই স্কুলে কাজ করত। তবে তার কাজে সন্দেহ হয় স্কুল কর্তৃপক্ষের। ইতিমধ্যে সন্দীপকে ওই কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এদিকে, গত সপ্তাহে বেশ কয়েকজন ছাত্রী প্রধান শিক্ষিকাকে জানান তারা কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা পায়নি। এরপর গত ২১ জুলাই স্কুলের পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রধান শিক্ষিকা জয়নগর (Jaynagar) থানার দ্বারস্থ হন।
প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। পুলিশ জানতে পারে, গত ৩ বছরে প্রায় ৩২ জন পড়ুয়াকে ঠকিয়েছে সন্দীপ। ঠিক কীভাবে প্রতারণা করত সে? পুলিশ জানিয়েছে, বাংলা শিক্ষা ও কন্যাশ্রী পোর্টালে ছাত্রীদের নাম-ঠিকানা আপলোড করত সন্দীপ। তবে অ্যাকাউন্ট নম্বর (Account Number) ছাত্রীদের দিত না। পরিবর্তে নিজের-সহ তার অন্যান্য পরিচিতদের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিত সে। আর খুব সহজেই সে সমস্ত অ্যাকাউন্টে চলে আসত টাকা। এভাবে ৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় সন্দীপ। এ কাজে তাকে তার বাবা প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করত বলেও অভিযোগ। তাই সন্দীপের সঙ্গে তার বাবাকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ (Police)। এই ঘটনার নিন্দায় সরব জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার প্রশাসক সুজিত সরখেল। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেছেন তিনি। সন্দীপ এবং তার বাবা অনুপ রায় ছাড়া এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.