BREAKING NEWS

৯ চৈত্র  ১৪২৯  শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

বীরভূমে নদীর চড়ে সোনার খোঁজে লোক যাতায়াত বন্ধ, তৈরি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

Published by: Sayani Sen |    Posted: March 17, 2023 8:16 pm|    Updated: March 17, 2023 8:16 pm

Police deployed in Birbhum where local people found gold । Sangbad Pratidin

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: নদীর বালিতে সোনার খোঁজে বৃহস্পতিবার থেকেই উৎসাহী লোক নামা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। নদীর চড়ের চারিদিকে পুঁতে দেওয়া হয়েছে লাল পতাকা। জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। নদীর চড়েই তাঁবু খাটিয়ে ক্যাম্প করেছে মুরারই থানার পুলিশ। ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বাঁশলৈ নদীতে এখন দিন রাত পুলিশ পাহারা। রামপুরহাট মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস বলেন, “আমরা পুরাতত্ত্ববিদদের আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। ততদিন নদীতে পুলিশ পাহারা থাকবে।ইতিমধ্যে গ্রামবাসীদের অনেকেই নদীর বালি খুঁড়ে পাওয়া সোনার টুকরো মুরারই থানায় জমা দিয়ে গিয়েছে। সেগুলি আপাতত থানার লকারে হেফাজতে রাখা হয়েছে।”

গত রবিবার ঝাড়খণ্ড লাগোয়া মুরারইয়ের পারকান্দি গ্রামের বাঁশলৈ নদীর বালি থেকে টুকরো টুকরো সোনার মুদ্রা, সোনার নাকছাবির মতো জিনিস কুড়িয়ে পায়। প্রথমে মুখে মুখে , পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাঁশলৈ নদীতে বালি খুঁড়ে সোনার খনির সন্ধানে হুড়হুড়ি শুরু হয়ে যায়। নদীর এক পাড়ে বীরভূম। অন্যপাড়ে ঝাড়খণ্ড। বীরভূম অংশের পারকান্দি, পিওর পাড়া, কামদেব নালা সহ গ্রামের লোকেরা গত তিনদিন ধরে সোনার সন্ধানে নদী প্রায় খুঁড়ে ফেলেছে। বৃহস্পতিবার থেকেই এলাকায় বসেছে পুলিশ পিকেট। নদীতে নামার নিষেধাজ্ঞা হিসাবে পাড়ে পাড়ে লাল পতাকা পুঁতে দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি তাঁবু খাটিয়ে দিনরাত চলছে পাহারা।

[আরও পড়ুন: ‘সংগঠন শক্তিশালী করতে পারিনি’, ক্ষমা চাইলেন সায়নী, মমতার ভর্ৎসনার মুখে একাধিক নেতা]

পুলিশের চর শাখার মৃণাল হেমব্রম জানান, তিনি পলশা অংশে চর শাখায় কর্মরত। শুধু পুলিশ পাহারা নয়, গ্রামে কাদের বাড়িতে বাড়িতে সোনার টুকরো আছে তারও একটা তালিকা তৈরি হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “এখনই আমরা কুড়িয়ে পাওয়া সোনার মতো জিনিস উদ্ধারে জোর দিচ্ছি না। আগে নিশ্চিত হওয়া দরকার মানুষ যা কুড়িয়ে পেয়েছে সে গুলি কি। তারপরেই আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেব। তবে এই সোনার খোঁজে এলাকায় যাতে অশান্তি না হয় তার জন্য ওই নদীর পাড়ে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করে দেওয়া হয়েছে।”

এদিকে, যারা কুড়িয়ে পেয়েছেন, তারা বাড়িতে ওই মুদ্রা রাখতে সাহস পাচ্ছেন না। বাড়িতে থাকলে দুষ্কৃতীরা হামলা চালাতে পারে। আবার লুকিয়ে রাখলে পুলিশ ধরতে পারে। তাই অনেকেই পুঁটলি বেঁধে সোনার টুকরোগুলি থানায় জমা দিয়ে আসছেন। থানার তরফে নাম ও সংখ্যা গুনে তাদের লকারে আপাতত মজুত রাখা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: বাম জমানায় চিরকুটে চাকরি পেয়েছেন কারা? তালিকা তৈরির নির্দেশ ব্রাত্যর]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে