Advertisement
Advertisement
Hooghly

ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি, তদন্তে গ্রেপ্তার খোদ পুলিশ আধিকারিক

এদিন ধৃতকে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হয়।

Police officer arrested in Hooghly

আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ধৃতকে। নিজস্ব চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:April 15, 2025 8:07 pm
  • Updated:April 15, 2025 8:07 pm  

সুমন করাতি, হুগলি: চায়ের দোকান থেকে অপহরণ করা হয়েছিল ব্যবসায়ীকে। অপহৃতের বাড়িতে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোনও যায়। নিরুপায় হয়ে ওই ব্যবসায়ীর পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল। তদন্তে নেমে চক্ষুচড়কগাছ তদন্তকারীদের। কারণ, অপহরণকারী নিজেই পুলিশ! ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অপহরণকারী পুলিশ আধিকারিককেও। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির বৈদ্যবাটি এলাকায়। মোবাইল টাওয়ার খতিয়ে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের নাম অশোক দাস। তিনি চন্দননগর আদালতে এএসআই পদে কর্মরত।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈদ্যবাটি পদ্মাবতী কলোনির বাসিন্দা তারক ভৌমিকের চায়ের দোকান আছে পিয়ারাপুর দিল্লি রোডের পাশে। গতকাল সোমবার ভোরে সেই দোকান থেকে ওই ৬৪ বছরের প্রৌঢ়কে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। একটি গাড়িতে করে ওই দোকানের সামনে থেকে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ওই ব্যক্তির বাড়িতে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। ফোনের ওপার থেকে একটি পুরুষকণ্ঠ ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে দাবি করে। এত টাকা কীভাবে আসবে? সেই দুশ্চিন্তা ছড়িয়েছিল ওই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।

Advertisement

শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে প্রৌঢ়ের পরিবার। পুলিশও ঘটনার তদন্ত শুরু করে। গতকাল রাতে ফের মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে ওই পরিবারের কাছে। সেই কথা দ্রুত জানানো হয় পুলিশকে। যে মোবাইল নম্বর থেকে ফোন এসেছিল, সেটির লোকেশন ট্রেস করতে শুরু করেন তদন্তকারীরা। দেখা যায়, শ্যাওড়াফুলি স্টেশনে ওই মোবাইল ফোন নম্বরের লোকেশন দেখাচ্ছে। এরপরই পুলিশ সেখানে হানা দেয়। স্টেশন চত্বর থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় অশোক দাসকে। তাকে জেরা করে ওই ব্যবসায়ীর সন্ধান পাওয়া যায়। শ্যাওড়াফুলিরই রাজাবাগান এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওই ব্যক্তিকে হাত বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

এদিকে অশোক দাসের পরিচয় জেনে স্তম্ভিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। কারণ, তিনি নিজেই পুলিশ আধিকারিক। চন্দননগর আদালতে এএসআই পদে কর্মরত। রক্ষকই এমন কাজ কীভাবে করতে পারে? সেই প্রশ্ন উঠেছে। কেন এমন কাজ করলেন তিনি? ৩০ লক্ষ টাকা কী কারণে তাঁর প্রয়োজন? সেসব প্রশ্ন উঠেছে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, ধৃত ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে। এদিন ধৃতকে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement