সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটারদের প্রভাবিত করতে আর নগদ টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে না। তার বদলে অন্য পন্থা নিয়ে এসেছে রাজনৈতিক দলগুলি। টোকেন, মোবাইলের রিচার্জ কার্ড, সংবাদপত্রের সাবস্ক্রিপশন, মোবাইল ওয়ালেটে পেমেন্ট ইত্যাদির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এমন অভিনত্বই নিয়ে এসেছে রাজনৈতিক দলগুলি। তামিলনাড়ুর আর কে নগরের ভোটারদের এভাবেই প্রভাবিত করার প্রমাণ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
[মাত্র ৩০ টাকা বখশিশের জন্য প্রাণ গেল এক হোটেল কর্মীর]
সোমবারই কমিশনের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘কিছু কিছু রাজনৈতিক দল এমন সব পথ বেছে নিচ্ছে যার সাহায্যে তারা ভোটের সময় বেঁধে দেওয়া খরচের সীমাকে অতিক্রম করেও পার পেয়ে যাচ্ছে।’ এর আগে ৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগে ইতিমধ্যে ১২ এপ্রিল আর কে নগর কেন্দ্রে ভোট বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘নগদ টাকা ছাড়াও উপহার হিসেবে ল্যাম্প, টি-শার্টস, রুপোর বাসন, মোবাইল ফোন এবং শাড়ি দেওয়া হয়েছে।’ তাতে আরও বলা হয়েছে, এই ধরনের ঘটনাকে কড়া হাতে দমন করতে হবে। জানা গিয়েছে, ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ভোটারদের প্রভাবিত করতে নগদ টাকা, উপহার সামগ্রী মিলিয়ে ১৮,৮০,৭৭০ টাকা খরচ করা হয়েছে। এছাড়া এই সংক্রান্ত ৩৫টি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
[মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চেয়ে গ্রেপ্তারের মুখে কেজরি]
এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং তাঁদের শীর্ষ নেতৃত্বকে সতর্কও করে দিয়েছে। এক বিবৃতিতে পরিস্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কখনই এই কার্যকলাপ থেকে হাত ধুয়ে ফেলতে পারে না। কারণ যাঁরা ভোটে দাঁড়াচ্ছে কিংবা এই ধরনের কাজ করছে, তাঁরা ওই দলেরই সদস্য। শুধু শীর্ষ নেতারাই নন, যাঁদের ভোটের সময় দলের তরফ থেকে প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, তাঁদেরও সুনির্দিষ্ট কিছু কর্তব্য রয়েছে। দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে সবাইকে নৈতিকতা বজায় রাখতে হবে।’