Advertisement
Advertisement

কোচবিহারে পাঁচ কুকুরছানার মৃত্যু, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিতর্ক তুঙ্গে

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মানতে নারাজ স্থানীয় পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি।

Post mortem Of Dogs
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:January 21, 2019 4:25 pm
  • Updated:January 21, 2019 4:25 pm

বিক্রম রায়, কোচবিহার: কোচবিহারে অনাহারেই মারা গিয়েছে পাঁচ কুকুরছানা। সারমেয়দের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অন্তত তাই বলছে। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মানতে নারাজ নারাজ স্থানীয় পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি। তাদের প্রশ্ন, মা বেঁচে থাকতে এতগুলি কুকুরছানা কি আদৌও অনাহারে মারা যেতে পারে? আর যদি সেটা হয়েও থাকে, তাহলে তার পিছনের কোনও রহস্য আছে। এই ঘটনা কাকতালীয় হতে পারে না। 

[ এনআরএসের পর এবার কোচবিহার, উদ্ধার ৫টি সারমেয় শাবকের দেহ]

Advertisement

শুক্রবার রাতে কোচবিহার শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিকুঠির ক্লাবের কাছে পাঁচটি সারমেয় শাবকের দেহ উদ্ধার হয়। দুটি কুকুরকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে শহরে। নিয়মাফিক মৃত কুকুরছানাদের দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য প্রাণিসম্পদ বিকাশ কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল কোতয়ালি থানার পুলিশ। আহত দুটি কুকুরে চিকিৎসা চলছে পশু হাসপাতালে। কোতুয়ালি থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায় জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই কুকুরগুলি কিছু খায়নি।অনাহারে মারা গিয়েছে অবলা প্রাণীগুলি। প্রাণিসম্পদ বিকাশ কেন্দ্রে যখন কুকুরগুলির দেহ কাটাছেঁড়া করা হচ্ছিল, তখন সেখানে ছিলেন পশুপ্রেমী সংস্থা কোচবিহার অ্যানিমাল এইড অ্যান্ড রেসকিউ সেন্টারের সম্পাদক সম্রাট বিশ্বাস। তিনি বলেন, “চিকিৎসকরা অনাহারে কুকুরের শাবকগুলির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তবে একসঙ্গে এতগুলো শাবকের অনাহারে মৃত্যু কি সম্ভব হতে পারে? অথচ দু’টি শাবক পুরোপুরি সুস্থ। অনাহারে যদি মারা গিয়ে থাকে তাহলে ওই শাবক দুটো কীভাবে সুস্থ থেকে গেল?” পশুপ্রেমী একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক রাজা বৈদ্য জানান, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কতটা সত্য তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। মৃত কুকুরের শাবকগুলির মা বেঁচে রয়েছে। অথচ একসঙ্গে প্রায় দু’মাস বয়সি পাঁচটি শাবকের মৃত্যু অনাহারে হবে এই তথ্য মেনে নেওয়া যায় না।”

Advertisement

ময়নাতদন্তকারী পশু চিকিৎসক দলের এক সদস্যের যুক্তি,  মৃত কুকুরছানাগুলি একটি কুকুরেরই সন্তান নাও হতে পারে।সেক্ষেত্রে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কুকুরগুলির মৃত্যু হতে পারে। মৃত্যুর পর হয়তো দেহগুলি কেউ এক জায়গায় ফেলে দিয়ে দিয়েছে।  কোচবিহারে এবার যথেষ্ট ঠান্ডাও পড়েছে। অনাহার ও ঠান্ডাতেই সারমেয় শাবকগুলির মৃত্যু হয়েছে। 

ছবি: দেবাশিস বিশ্বাস

[ সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনি বন্ধের দাবিতে আন্দোলনে গৃহশিক্ষকরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ