সুমন করাতি, হুগলি: প্রবীর ঘোষালের ‘ঘর ওয়াপসি’ হল তৃণমূলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে দলে ফিরতে সম্মতি দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতিতে আপ্লুত উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক। জেলার রাজনীতিতে তাঁকে এবার থেকে পাওয়া যাবে? সেই প্রশ্নের উত্তরে প্রবীর ঘোষাল বলেন, ‘জাস্ট ওয়েট অ্যান্ড সি’।
গতকাল, সোমবার বিধানসভায় গিয়েছিলেন প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghoshal)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে তিনি দেখা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের তাঁকে দলের কাজ করতে বলেন। মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদও নেন তিনি। তৃণমূলের অন্যান্য নেতারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কোন্নগরের বাড়িতে ফিরে প্রবীর ঘোষাল বলেন, “এটা আমার কাছে বিরাট বড় গিফট। আমি তো খুব একটা বড় রাজনীতিক ছিলাম না। উনি ভালোবেসে আমাকে বিধায়ক করেছিলেন। কিন্তু তা নিয়েও কিছু মতবিরোধের কারণে আমাকে দল ছাড়তে হয়েছিল।” তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমরা একই পরিবারের সদস্য। মাত্র কয়েকটা মাস একটু কথা হয়নি। বাকি সবই ঠিক আছে। উনি অনেকদিন ধরেই আমাকে যোগ দেওয়ার কথা বলছিলেন।”
দলে ফিরে কোনও দায়িত্ব পাবেন প্রবীর ঘোষাল? সেই বিষয়ে তিনি বলেন, “বুধবার তৃণমূল ভবনে আমাকে বৈঠকের জন্য ডাকা হয়েছে। সেখানে কিছু আলোচনা হবে। এই যোগদানে স্থানীয় রাজনৈতিক জগতের লোক থেকে আমার বিধানসভা কেন্দ্রের সবাই খুশি।” ২০২১ সালে প্রবীর ঘোষাল তৃণমূল ছেড়েছিলেন। উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই তিনি বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন। যদিও জিততে পারেননি। এরপর বিভিন্ন সময় প্রবীর ঘোষালকে নিয়ে স্থানীয় স্তরে তৃণমূলে ক্ষোভ ছড়ায়। তৃণমূলে ফেরানো হবে না। এই মর্মে পোস্টারও পড়ে উত্তরপাড়ার বিভিন্ন এলাকায়। তাহলে কি তিনি তৃণমূলে স্থানীয় স্তরেই কাজ করবেন? সেই প্রশ্নে ধোঁয়াশা রেখেছেন প্রবীর ঘোষাল। এলাকার বিজেপি নেতা প্রণয় রায় বলেন, “প্রবীরবাবু ২০২১ সালে ভোটের একমাস পর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করেছেন। উনি তৃণমূলই ছিলেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.