Advertisement
Advertisement
doctors

এবার প্রাইভেট ডাক্তার, শিক্ষকদেরও নিতে হবে ‘ট্রেড লাইসেন্স’, দিতে হবে পুর কর, সিদ্ধান্ত এই পুরসভার

কেন এই সিদ্ধান্ত?

Private teachers and doctors need trade license, will pay taxes | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:August 1, 2023 1:27 pm
  • Updated:August 1, 2023 1:29 pm

নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: এবার থেকে প্রাইভেট চেম্বার করা ডাক্তারবাবু থেকে শুরু করে প্রাইভেট টিউটরদেরও দিতে হবে পুরকর। তাঁদেরকেও নিতে হবে ট্রেড লাইসেন্স। এই সিদ্ধান্ত মেদিনীপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষের। পাশাপাশি শহরের নার্সিংহোম থেকে শুরু করে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলির লাইসেন্সও পুনর্মূল‌্যায়ন করা হবে। তাদের থেকে নেওয়া হবে পৃথক সার্ভিস ফি। পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেছন, “বোর্ড মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুর আইন মেনেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এতে সমস্ত ক্ষেত্র যেমন একটি সিস্টেমের মধ্যে আসবে তেমনই পুরসভার আয়ও বাড়বে।”

উল্লেখ করা যেতে পারে, অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছে মেদিনীপুর পুরসভা। কেবলমাত্র শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন‌্য সাফাইকর্মীই আছেন এক হাজারের বেশি। দৈনিক মজুরিতে তাঁদের বেতন দিতে হয়। আবার কমেছে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে বরাদ্দের অর্থও। ফলে টান পড়েছে ভাঁড়ারে। তাই আয় বাড়াতে বিভিন্ন দিক থেকে কর আদায়ের চিন্তাভাবনা শুরু করেছে মেদিনীপুর পুরসভা। এর আগে শহরের হকার ও ফুটপাত ব‌্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন ১০ ও ২০ টাকা করে সাফাই কর নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবার নজরে রয়েছেন প্রাইভেট চিকিৎসক, শিক্ষকরা। মেদিনীপুর শহরে প্রচুর চিকিৎসক প্রাইভেট চেম্বার করেন। পাঁচশো, সাতশো টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা পর্যন্ত ভিজিট নেন। মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন অথচ পুরসভাকে কোনও কর দেন না। তাঁদেরকেও এবার ট্রেড লাইসেন্সের আওতায় আনতে চাইছে পুরসভা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিনামূল্যে কৃষকদের শস্য বিমার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত, শুরু নাম নথিভুক্তকরণের কাজ]

এর পাশাপাশি যেসব শিক্ষকরা পুরোপুরি পেশাদার ভিত্তিতে প্রাইভেট টিউশন পড়ান তাঁদেরকেও ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে। পুরপ্রধানের কথায়, এঁরা সকলেই ব‌্যবসায়িক ভিত্তিতে টাকা রোজগার করছেন। অথচ পুরসভাকে কোনও কর দিচ্ছেন না। তাই ট্রেড লাইসেন্সের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি পুনর্মূল‌্যায়ন করা হচ্ছে নার্সিংহোম ও ডায়াগনস্টিস সেন্টারগুলিকেও। মেদিনীপুরের পুরপ্রধান সৌমেনবাবু বলেছেন, “অনেকেই নিজেদের নামে ছোটখাটো লাইসেন্স নিয়ে রেখেছেন। অথচ পরবর্তীকালে তাঁদের ব‌্যবসা বৃদ্ধি করেছেন। একের পর এক পরিষেবার সংযুক্তিকরণ ঘটিয়েছেন। কিন্তু সেই অনুযায়ী পুরসভাকে লাইসেন্স ফি দিচ্ছেন না। আবার নার্সিং হোমগুলিও তাদের আবর্জনা স্থানীয় পুরসভার ভ‌্যাটে ফেলে দিচ্ছে। তা চলবে না। নার্সিংহোম মালিকদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে। পুরসভা ওই নার্সিংহোমগুলি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে আনবে। কিন্তু তার জন‌্য নার্সিংহোমগুলিকে পৃথকভাবে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: চিফ মিনিস্টার’স পুলিশ মেডেল পাচ্ছেন রাজ্যের ৬ IPS, তালিকায় জঙ্গলমহলের ২ পুলিশ সুপারও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ