Advertisement
Advertisement

Breaking News

দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট

বিলগ্নিকরণের কোপে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টও! কেন্দ্রকে চিঠি আলুওয়ালিয়ার

নতুন তালিকা দেখেই শ্রমিক মহলে তীব্র আতঙ্ক, ক্ষোভ।

Privatisation rumour about Durgapur Steel Plant raises confusion

ফাইল ছবি

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 7, 2020 3:15 pm
  • Updated:September 7, 2020 3:27 pm

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বেসরকারিকরণের তালিকায় এবার দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানাও (Durgapur Steel Plant)! অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের পর ডিএসপি’র নাম বিলগ্নিকরণের তালিকায় দেখেই শোরগোল দুর্গাপুরের শ্রমিক মহলে। তীব্র আতঙ্কের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ শ্রমিক সংগঠনগুলি। সত্যিই রাষ্ট্রায়ত্ব এই সংস্থাকে বেসরকারি হাতে ছেড়ে দিচ্ছে কেন্দ্র? বিভ্রান্তি কাটাতে অর্থ মন্ত্রকের কাছে চিঠি লিখে বিস্তারিত জানতে চাইলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া (SS Aluwalia)।

Aluwalia-letter
কেন্দ্রকে পাঠানো সাংসদ আলুওয়ালিয়ার চিঠি

সম্প্রতি চণ্ডীগড়ের এক ব্যক্তি তথ্য জানার অধিকার আইনে (RTI) বিলগ্নিকরণের তালিকায় থাকা রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলির নাম জানতে চান অর্থ মন্ত্রকের কাছে। গত ২৪ আগস্ট তার উত্তরে অর্থ মন্ত্রকের অধীনে থাকা ‘ডিপার্টমেন্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট এন্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজেমেন্ট’ ২৬ টি সংস্থার একটি তালিকা দেয় তাঁকে। সেই তালিকায় সেইলের (SAIL) ভদ্রাবতী স্টিল প্ল্যান্ট, সালেমের সঙ্গে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টেরও (DSP) নাম রয়েছে। ৩ বছর আগে প্রথম পর্বেই ভদ্রাবতী, সালেম ও দুর্গাপুরের অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে এই
বিলগ্নিকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। যদিও বাধার মুখে পড়ে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে সেই প্রক্রিয়া মুখ থুবড়ে পড়ে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নদিয়ায় দোকানের লকার রুম থেকে মিলল স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দেহ, ঘনাচ্ছে রহস্য]

কিন্তু এবার আচমকাই সেই তালিকায় অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বদলে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের নাম ঢুকে যাওয়ায় চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে শ্রমিকরা। এই তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই শুধু কারখানার ভিতরেই নয়, ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে গোটা ইস্পাতনগরী জুড়েই। বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া অর্থ মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের যুগ্ম সচিবের কাছে সোমবারই এই নিয়ে চিঠি দিয়েছেন। তিনি জানান, ‘‘ডিএসপি কারখানা ও ইস্পাতনগরীতে এই তালিকা নিয়ে চরম বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার আতঙ্কিত। আমি অর্থ মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে ফোনে কথা বলে তারপরই লিখিতভাবে তাঁদের বিষয়টি দ্রুত স্পষ্ট করার আবেদন করেছি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: মালদহ সীমান্ত থেকে মাদক পাচারের চেষ্টা, BSF-এর গুলিতে মৃত্যু বাংলাদেশি পাচারকারীর]

ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সিটু, আইএনটিটিইউসি ও বিএমএসও। সিটুর যুগ্ম সম্পাদক সৌরভ দত্ত জানান, “ প্রথমে এক নাম তো পরে অন্য। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একটা সরকার কতটা উদাসীন হতে পারে, এটা তার প্রমাণ। আমরা সেইলের কাছে এর সদুত্তর চাইব।” বিএমএসের সাধারণ সম্পাদক মানস চট্টোপাধ্যায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করে সরকারের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট করার দাবি করেছেন। আইএনটিটিইউসির জয়ন্ত রক্ষিতের অভিযোগ, অযথা শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরির দায়ী কেন্দ্রই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ