Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা সচেতনতায় হাতিয়ার লোকনৃত্য, নতুন পালায় সতর্কবার্তা দিচ্ছেন ছৌ শিল্পীরা

'করোনাসুর বধ' পালায় সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন শিল্পীরা।

Purulia Chhau artists spread awarness about the effect of Coronavirus
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:April 16, 2020 6:12 pm
  • Updated:April 16, 2020 7:24 pm

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: “যেখানে দেখিব ভিড় করিব আমি প্রবেশ/ প্রথমে হবে সর্দি-কাশি-জ্বর। তারপরে হবে শেষ।”এবার ছৌ পালাতেও করোনা সচেতনতা। পুরুলিয়ায় ছৌ নাচে ‘করোনাসুর বধ’ পালা করে তা সোশাল সাইটে প্রচার করছেন শিল্পীরা। ছৌ-ই প্রথম লোক আঙ্গিক যেখানে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আমজনতাকে সচেতনতার বার্তা দিচ্ছে।

আসলে বনমহল পুরুলিয়া তথা সাবেক মানভূমে সমাজ জীবনের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ সবথেকে বেশি ধরা পড়ে যে লোক আঙ্গিকে তা হল ছৌ। তাই মারণ করোনা ঠেকাতে ওই পালা ‘জোহার মানভূম’ ইউটিউব চ্যানেলে দিয়েছে ভালিকা-যশুডি বিশ্বকর্মা ছৌ নৃত্য পার্টি। জঙ্গলমহল বলরামপুরের ঘাটবেড়া-কেরোয়া এলাকার এই ছৌ দল সামাজিক দূরত্ব মেনে ঢোল বাদক-সহ মোট তিন শিল্পীকে নিয়ে সচেতনতামূলক এই পালা তুলে ধরেছে। সেই পালায় প্রয়াত কবি কৃত্তিবাস কর্মকারের বিখ্যাত ঝুমুরকে অনুকরণ করে বাঁধা হয়েছে গান। পালায় থাকা ভারতমাতার চরিত্রে শিল্পী সাধন লায়া গাইছেন, “এই মহামারির দিনে/ জড় হস না একেই ঠিনে/ তরা লকডাউনকে মান/ নাইত যাবেক সবার প্রাণ/ এখন আল্লা হরি সকৈল পেঁদা/ সতরেই ভগবান/ যদি বাঁচবি দু’দিন সুখে/ ঢাকা লিবি নাখে মুখে/ হাতে লিবি রে সাবান/ হৈস না অসাবধান/ এই লড়াইয়ে ভাগ লিব ভাই সমান সমান/ ডাক্তার পুলিশ ম্যাতে/ ঘাম ঝরাছে দিন রাইতে/ তাদের নাই কি ঘরের টান, পথে গাইছে কত গান/ রঞ্জিত বলে এদের পালে জানাবি সম্মান।” ওই এলাকার বাসিন্দা তথা মানভূম সংস্কৃতি রক্ষা সমিতির সদস্য রঞ্জিৎ মাহাতোর নির্দেশনায় এই পালা তুলে ধরেন ওস্তাদ অশোক কর্মকার। রঞ্জিতে কথায়, “এখন ছৌয়ের মরশুমে সব পালা বন্ধ। আসলে রোগ থেকে বাঁচতে সচেতনতা ছাড়া উপায় নেই। তাই নিজে পালা লিখে ওই ছৌ দলকে দিই।”

Advertisement

[ আরও পড়ুন: স্বামীর পর শাশুড়ি, সংক্রমণ ছড়াচ্ছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের করোনা আক্রান্ত নার্সের পরিবারে ]

পালার দু’টি চরিত্রে রয়েছে ত্রিশূল হাতে ভারতমাতা ও অসুররূপী করোনা ভাইরাস। সেই ভাইরাসের চরিত্রে থাকা ভুবন কর্মকার তার নৃত্যকলায় বলছেন, “সমগ্র মানব জাতিকে করব সর্বনাশ। মানবজাতিকে ধ্বংস করে এই পৃথিবীকে আমি আনব হাতের মুঠোয়”। এমন হুঙ্কারে ভারতমাতার উদ্বেগের ছবি ফুটে উঠেছে। কিন্তু তাঁর বিশ্বাস, “আমার সন্তানরা ৩৩ কোটি দেবতার পুজোয় উপোস করে নিয়ম মেনে যদি চলতে পারে। তাহলে জীবন বাঁচিয়ে রাখার জন্য সচেতন কেন হবে না!” তাই তাঁর করুণ আর্জি, “মায়ের চোখের জল যদি মোছাতে চাও লকডাউনের সঠিক নিয়ম মেনে চল।”

Advertisement

ছবি- অমিত সিং দেও

[ আরও পড়ুন: আমডাঙায় রেশন চুরির অভিযোগ, এলাকায় ঢোকার মুখে অর্জুনকে আটকাল পুলিশ ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ