সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: দুর্গাপুজোয় যখন প্যান্ডেলে-প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখার ধুম। তখন সেই ভিড় সামলাতে ব্যস্ত থেকেছেন পুলিশ থেকে সিভিক ভলান্টিয়াররা। এই কাজ করার সময়ই মণ্ডপ চত্বরের কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারের কাছে খবর আসে, প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এক মহিলা। খবর পেয়েই দু্রত ব্যবস্থা নেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। পুজো মণ্ডপ থেকেই ফোন মারফৎ গাড়ির ব্যবস্থা করে ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ঝালদা এক নম্বর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের সহযোগিতায় সেখানে ওই গৃহবধূকে ভরতি করানো হয়। দুর্গাপুজো ও মহরমে ভিড় সামলানোর ফাঁকে এমনিই নজিরবিহীন কাজ করায় এক কনস্টেবল, দুই সিভিক ভলান্টিয়ার ও ভিলেজ পুলিশকে পুরস্কৃত করল পুরুলিয়ার ঝালদা থানা।
কনস্টেবল দয়াময় মাহাতো, সিভিক ভলান্টিয়ার মধুসূদন প্রামাণিক, শ্যামল ওঝা, ভিলেজ পুলিশ গোপাল মাহাতো, অশ্বিনী সাণ্ডিলকে গত মঙ্গলবার পুরস্কৃত করেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া। তবে এই পাঁচজনের মধ্যে সবচেয়ে নজর কাড়েন সিভিক ভলান্টিয়ার শ্যামল ওঝা। তিনিই প্রসব যন্ত্রণায় কাতরানো ইচাগের মহিলাকে গাড়ি করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। ভাল কাজের সুবাদে ঝালদা থানার এই পুরস্কারের আয়োজনকে তারিফ করেছে মহকুমা পুলিশ প্রশাসন। জেলা পুলিশের তরফেও এসেছে প্রশস্তি।
[দীপাবলির রাতে বাজি ফাটাতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের, কোচবিহারে চাঞ্চল্য]
ঝালদা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুমন্ত কবিরাজ বলেন, “দুর্গাপুজো ও মহরমে যে সব কনস্টেবল, সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ ভাল কাজ করেছেন তাঁদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। যাতে এই পুরস্কারের পেয়ে নিজেদের কাজের প্রতি আরও উৎসাহ পান।” এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার, ঝালদা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ছাড়া ছিলেন পুরুলিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) ধৃতিমান সরকার, ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ, ঝালদার মহকুমা শাসক সুশান্তকুমার ভক্ত, ঝালদা এক নম্বর ব্লকের বিডিও নির্মিতা সাহা প্রমুখ।