সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: তরুণীর বিয়েতে ভাংচি দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার। বিয়ে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় এক যুবকের বাড়িতে ভাঙচুর চালাল পাত্রির বাড়ির লোকজন। সেই সঙ্গে বাড়ি থেকে লুট হল প্রায় ৭০ হাজার টাকা। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামল দিতে এসে আক্রান্ত পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার ঝালদা শহরের আনন্দবাজারের ধীবর পাড়ায়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার পুরুলিয়ার ঝালদা শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ওই এলাকায় দুই পরিবারের ঝামেলা চরম আকার নেয়। আর তা সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশও। যদিও আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা অস্বীকার করেছে ঝালদা থানার পুলিশ। অভিযোগ ধীবর পাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী ভোলানাথবাবুর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। দরজা, গ্রিল, টিভি ভাঙচুর-সহ আলমারি থেকে ৬০-৭০ হাজার টাকা লুট হয়েছে। ভোলানাথ ধীবরের ভাইপোর প্ররোচনায় নাকি হামলাকারীদের মেয়ের বিয়ে ভেঙে গিয়েছে। তাই এই ভাঙচুরের ঘটনা। এদিকে দুই প্রতিবেশী পরিবারের খণ্ডযুদ্ধ থামাতে গিয়ে গন্ডগলোর মাঝে পড়ে আহত হয়েছেন এক কনস্টেবল ও একজন এসআই পদমর্যাদার আধিকারিক।
[জঙ্গলে বাঘে-মানুষে লড়াই, সঙ্গীকে হারিয়ে কাতর দুই মৎস্যজীবী]
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকালে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন ব্যবসায়ী ভোলানাথ ধীবর। সেই সময়ই ছ’-সাতজনের একটি দল তাঁর বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। এমনকী, বাড়ির মহিলাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ভোলানাথ ধীবরের কথায়, “আমি তখন ঘুমোচ্ছিলাম। আচমকা শুনতে পাই ভাঙচুরের শব্দ। সেই সঙ্গে চিল চিৎকার। ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি দরজার পাল্লা ভেঙে পড়ে রয়েছে। টিভি ভাঙা। হামলাকারীরা বলছে, আমার ভাইপো নাকি ওদের মেয়ের বিয়ে ভাঙিয়েছে। এই বলে চলতে থাকে ভাঙচুর। পুলিশ ঝামেলা ঠেকাতে এলে তাদের ওপর চড়াও হয় হামলকারীরা। গালিগালাজ দেয়। কী আর বলব। পুলিশ সবই দেখেছে। এখন দেখি আলমারি খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেখানে ব্যবসা সংক্রান্ত কারণে এনে রাখা প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকা উধাও।”
সাতসকালে শহরের বুকে বাড়িতে ঢুকে এই হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। ইতিমধ্যেই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ঝালদা থানায় অভিযোগও দায়ের করেছে আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার। অভিযোগ পাওয়ার পর এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।