Advertisement
Advertisement

Breaking News

অসুস্থদের বাড়ি ভাড়া দেওয়ার আড়ালে মধুচক্রর আসর, জালে ৭

স্থানীয়দের উদ্যোগে দুর্গাপুরে পর্দাফাঁস।

Racket running flesh trade busted in Durgapur
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 16, 2018 7:23 am
  • Updated:January 16, 2018 7:23 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এলাকার লোকজন জানত অসুস্থদের জন্য বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়। সন্দেহ এড়াতে বাড়ির পাশে ঝুলত ভাড়ার নোটিস। তার আড়ালেই চলত মধুচক্র। স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে অবশেষে দুর্গাপুরে মধুচক্রের পর্দা ফাঁস হল।

[চাকদহে পণের দাবিতে ‘খুন’ স্ত্রী, গ্রেপ্তার পুলিশকর্মী]

Advertisement

দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার বিধাননগরের ছায়ানট সরণির একটি আবাসনে মধুচক্রের আসরে হানা দেয় পুলিশ৷ সঙ্গে ছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। তখন সবে লোকজন আসতে শুরু করেছে। পুলিশ মধুচক্রের আসর থেকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে মূল পাণ্ডা রাকেশ পরামানিককে৷ সব মিলিয়ে ধরা হয় সাতজনকে। তার মধ্যে তিনজন মহিলা। রাকেশের আদতে বাড়ি ঝাড়খণ্ডের বোকারোয় হলেও মধুচক্রের ব্যবসার জন্য কাঁকসার বামুনাড়ায় বাড়ি ভাড়া করে থাকত৷ দুর্গাপুরে সে নিয়মিত মধুচক্রের আসর বসাত। বিধাননগর রেসিডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক হৃদয় সাঁই জানান, “দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগে সরব ছিলাম৷ বারবার পুলিশ দুর্গাপুর নগর নিগমকেও অভিযোগ করেছিলাম৷” তাঁদের আরও অভিযোগ, বেশ কিছু বাড়ির মালিক সব জেনেশুনেও বেশি ভাড়ার লোভে এই সব রসালো ব্যবসায় মদত দিচ্ছেন৷ এর পিছনে কোনও বড় মাথা আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷ আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি-১ অভিষেক মোদি জানান, “ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে৷ মূল অভিযুক্ত রাকেশ পরামানিকের সঙ্গীদেরও খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে৷ বাড়ির মালিকদের সতর্ক করা হবে৷ ভবিষ্যতে ভাড়া দেওয়ার সময় যেন পরিচয়পত্র দেখেই তবে ভাড়া দেওয়া হয়৷ অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাদের বিরুদ্ধেও৷” ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে আদালত মূল অভিযুক্তকে চারদিনের পুলিশি হেফাজত নির্দেশ দেয়। বাকি চার মহিলা-সহ অন্যদের জামিনে মুক্তি দেয়।

Advertisement

[প্রতিবন্ধী ছেলে ফিরল ঘরে, সৌজন্যে ফেসবুক]

ওই এলাকায় দুর্গাপুরের নামজাদা এক বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে৷ যে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর আত্মীয়দের থাকার জন্যে ঘর ভাড়া দেওয়া হত। এমনটাই জানান বাড়ির মালিক। তবে মালিকের দাবি এমন কাজ যে চলছিল তা তিনি জানতেন না। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে বাড়িভাড়ার নামে ওখানে চলত মধুচক্র। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এই কাজে রাকেশের সহযোগী ছিল বীরভূমের বাসিন্দা তপন নামের এক ব্যক্তি ও এক নেপালি মহিলা। বিধাননগর অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই মধুচক্রের কারবার চলছিল৷ মাস ছ‌য়েক আগেও এই এলাকার সেক্টর টু-বির একটি বাড়িতে হানা দিয়ে মধুচক্র চালানোর অভিযোগে পুলিশ হাতেনাতে সাতজনকে গ্রেফতার করে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ