BREAKING NEWS

১৭ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  বৃহস্পতিবার ১ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

ইটাহারের তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, সাদা গাড়ির সূত্র ধরেই কিনারা

Published by: Shammi Ara Huda |    Posted: September 3, 2018 8:50 am|    Updated: September 3, 2018 8:54 am

Raiganj: Accused arrested regarding TMC leader murder case

ছবিতে মৃত তৃণমূল নেতা বিকাশ মজুমদার।

সংবাদ প্রতিদিন ডিজটাল ডেস্ক:  ইটাহারের তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। তদন্তে নেমে সাদা গাড়ির সূত্র ধরে অভিযুক্তের নাগাল পেল পুলিশ। ধৃতের নাম সুকুমার দাস। ধৃতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেরায় জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত কারণে খুন হয়েছেন তৃণমূল নেতা বিকাশ মজুমদার।

পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই বিকাশবাবুকে খুনের হুমকি দিচ্ছিল সুকুমার। তদন্তে নেমে জানা যায়, বছর দুয়েক আগে নাবালিকার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সুকুমার। বারাবার সাবধান করলেও তাকে বাগে আনা যায়নি। এরপর সুকুমারের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। সেই মামলা আদালতে উঠলে মূল সাক্ষীর ভূমিকায় ছিলেন বিকাশবাবু। এই মামালায় দোষী সাব্যস্ত হয় সুকুমার দাস। তার কারাদণ্ডের সাজা হয়। সাজা পাওয়ার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিল অভিযুক্ত। চলতি বছরের মার্চ মাসে জামিনে ছাড়া পায় সে। জেলের বাইরে বেরিয়েই বিকাশবাবুকে প্রায়ই খুনের হুমকি দিতে থাকে। এই খবর প্রায় সকলেরই জানা। সুযোগ খুঁজছিল সুকুমার। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে অশান্তি শুরু হতেই পরিকল্পনা ছকে নেয় সে। ভেবেছিল এই সময় বিকাশ মজুমদারকে খুন করে বিষয়টিতে রাজনৈতিক রং লাগবে। খুনের অভিযোগ থেকে পার পেয়ে যাবে সে। যেমন ভাবা তেমনি কাজ। শুক্রবার রাতে থানা থেকে বাইকে চেপে ইটাহারের বাড়িতে ফিরছিলেন বিকাশবাবু। পথেই হারগ্রামের কাছে তাঁকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে মারে সুকুমার। অকুস্থলে একটি সাদা রঙের গাড়ি ছিল। ঘটনার পরেই চম্পট দেয় অভিযুক্ত। এদিকে এলাকার জনদরদি নেতার আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে সেই রাতেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমে যায়। তড়িঘড়ি বিকাশবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

[কয়লার অভাবে বন্ধ মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারটি ইউনিট, উদাসীন কর্তৃপক্ষ]

প্রিয় নেতার মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুটতে থাকে জনগণ। প্রথমে বিরোধীদের দিকে আঙুল উঠলেও তদন্তে নেমে তেমন কোনও প্রমাণ পুলিশের হাতে আসেনি। এদিকে অকুস্থলে থাকা সাদা গাড়িকে পাখির চোখ করে পুলিশ। উত্তর দিনাজপুর জেলার সীমান্ত জুড়ে শুরু হয় নাকা চেকিং। তবে রহস্যময় সাদা গাড়িটির কোনও হদিশ মেলেনি। তখনই তদন্তকারী আধিকারিকরা বুঝতে পারেন, খুনি এলাকারই। গাড়ি জেলার বাইরে যায়নি। এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলেই সুকুমার দাসের খোঁজ মেলে। জানা যায়, তার তত্ত্বাবধানে একটি সাদা গাড়ি রয়েছে। সেই গাড়িই তার উপার্জনের একমাত্র উৎস। শুধু তাই নয়। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর প্রায়ই সে বিকাশবাবুকে খুনের হুমকি দিত। এই তথ্য জানার পরেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন তৃণমূল নেতার পরিজন ও পরিচিতরা।

[জন্মাষ্টমীর দিনে বাড়ির ছাদে ‘অষ্টনাগ’-এর আবির্ভাব, চুঁচুড়ায় হইচই]

 

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে