ছবি: ফাইল
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থানে বাঙালি খুনের প্রতিবাদে পথে নামল যুব তৃণমূল। ধিক্কার মিছিলের পুরোভাগে দাঁড়িয়ে থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ কথা রাজস্থানে আইনের শাসন নেই। এর দায় কেন্দ্রের মোদি সরকার কোনওভাবে এড়াতে পারে না। যুব তৃণমূল সভাপতির তোপ, দিলীপ ঘোষদের অস্ত্র নিয়ে মিছিল করার এটাই পরিণাম।
[আফরাজুলের পরিবারকে চাকরির আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর, মালদায় যাচ্ছে সংসদীয় দল]
লাভ জেহাদের নাম রাজস্থানে কোপানোর পর পুড়িয়ে হত্যা করা হয় কালিয়াচকের প্রৌঢ়কে। এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। মুখ্যমন্ত্রীর মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তৃণমূল এর যুব সংগঠন এর প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে হাজরা মোড় থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু করে। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে পর্যন্ত এই পদযাত্রার পুরোভাগে ছিলেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা। মিছিলে মোমবাতি নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এমন নিষ্ঠুর, নির্মম, বেদনাদায়ক, দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে বেনজির। এ দৃশ্য কখনও দেখেনি ভারতবাসী। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এধরনের ঘটনা বেড়ে চলেছে। এর থেকে প্রমাণিত আইনের শাসন নেই রাজস্থানে। সেখানে নির্ভয়ে ঘুরছে দুষ্কৃতীরা। দোষীদের নজিরবিহীন শাস্তির দাবি করেন তৃণমূল যুব সভাপতি। এমন নৃশংস ঘটনার জন্য গেরুয়া শিবিরের দৌরাত্ম্য এবং উসকানিকে অভিষেক দায়ী করেছেন। তাঁর মতে, এ রাজ্যে দিলীপ ঘোষরা যেভাবে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেন এই ঘটনা তারই পরিণাম। এধরনের ঘটনার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিষেক অভিযোগ করেন।
[খুনের ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করে ১৪ বছরের কিশোর, আফরাজুল হত্যা কাণ্ডে নয়া তথ্য]
মিছিলে ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানান এই ঘটনা পাশবিক, অমানবিক। এর প্রতিবাদ সারা দেশ জুড়ে হওয়া উচিত। ইতিমধ্যে নিহত আফরাজুলের স্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশে কালিয়াচকে মৃতের বাড়িতে যান জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। পরিবারকে একজনকে চাকরির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন আফরাজুলের তিন মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নেবে প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.