Advertisement
Advertisement

Breaking News

গ্রামের নাম ভরতচক, এখানে রামের পুজো করেন বাসিন্দারা

দুর্গাপুজো বা অন্য কোনও পুজো হয় না।

Ram is the only deity in this village
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:February 19, 2019 5:16 pm
  • Updated:February 19, 2019 5:16 pm

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: রামায়ণে রামচন্দ্রের অনুজ ছিলেন ভরত। অগ্রজকে এতটাই ভক্তি করতেন তিনি, যে বনবাসে থাকাকালীন রামের খড়ম জোড়া সিংহাসনে বসিয়ে রাজ্যপাট সামলেছিলেন। তেমনই ‘রামভক্ত’ এই গ্রামের সন্ধান মিলল পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলেও। দুর্গাপুজো নয়, এই গ্রামের সবচেয়ে বড় উৎসব ‘রামরাজা’র পুজো। ঘটনাচক্রে এই গ্রামের নামও আবার ভরতচক!

[ রোগীর সঙ্গে লিফলেটে নিজেদের ছবি, থ্যালাসেমিয়া রোধে অভিনব উদ্যোগ দম্পতির]

Advertisement

আসানসোল শহরের একেবারেই লাগোয়া এই ভরতচক গ্রাম। বিধানসভা কেন্দ্র, হীরাপুর। শোনা যায়, এই গ্রামে নাকি একশো বছরেরও বেশি সময়ে ধরে ‘রামরাজা’র পুজো হয়ে আসছে। স্থানীয়  বাসিন্দারা বলেন, তাঁদের পূর্বপুরুষ রামের পুজো করতেন। তাই আগে ওই গ্রামের নাম ছিল ভরতগ্রাম। পরবর্তীকালে আলাদা মৌজা হওয়ার পর, গ্রামের নামের সঙ্গে ‘চক’ শব্দটি জুড়ে দেওয়া হয়। এই ভরতচক গ্রামে প্রতিটি পরিবারে একজন করে রামও আছেন!  গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, প্রতি পরিবারে অন্তত একজন সদস্যের নাম আগে, পরে কিংবা মাঝে রাম শব্দ রয়েছে। তবে এমন নাম যাঁদের, তাঁরা প্রত্যেকেই অবশ্য বয়সে প্রবীণ। দুর্গাপুজো বা অন্য কোনও পুজার রেওয়াজ নেই। রামচন্দ্রই ভরতচক গ্রামে একমাত্র আরাধ্য।

Advertisement

আসানসোলের ভরতচক গ্রামে প্রতিবছর মাঘ মাসের পূর্ণিমা বা মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে ধূমধাম করে ‘রামরাজা’র পূজো হয়। পুজো চলে চারদিন। আজ, মঙ্গলবার থেকেই গ্রাম শুরু হল রামের পুজো। চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। এই চারদিন ধরে গ্রামে মেলা বসে, হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। ভরতচক গ্রামে শ্বশুরবাড়ি রিয়া দাসের। তিনি জানালেন, দুর্গাপুজোর মতোই রামের পুজোয় আনন্দে মেতে ওঠেন গ্রামবাসীরা। সকলেই নতুন জামা-কাপড় পরেন। গোটা গ্রাম আলো দিয়ে সাজানো হয়। সাতদিন ধরে নিরামিষ খান গ্রামবাসীরা। স্থানীয়দের বিশ্বাস, ভরতচক গ্রামের রাম মন্দিরে মানত করলেই মনস্কামনা পূর্ণ হয়। আর যাঁদের ইচ্ছাপূরণ হয়, তাঁরাই প্রতিমা তৈরি ও মন্দিরে রং করিয়ে দেন। বিশ্বাসের জোর এতটাই যে, আগামী ৩০ বছর পর্যন্ত মন্দিরের দায়িত্ব আগাম নিয়ে রেখেছেন ভক্তরাই। আসানসোল শহরের বিশিষ্ট গবেষক মনোজ মাজি জানালেন, রাম নবমী নয়, রামের পুজো এ বঙ্গের প্রাচীন সংস্কৃতি। উত্তর ভারতে তুলসীদাসের রামায়ণ যখন জনপ্রিয়তা পায়, তারও বহু আগে থেকেই পঞ্চদশ শতাব্দীতে কৃত্তিবাসী রামায়ণে ভারতের বৈচিত্র্যের সন্ধান পাওয়া  গিয়েছিল।  সেই সূত্রে এ বঙ্গে রামপুজোর প্রচলন হয়।

[দুহাতে নেই আঙুল, মনের জোরেই মাধ্যমিক দিচ্ছে কেতুগ্রামের অমিয় ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ