টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: জাতে মাতাল তালে ঠিক! বাবা-মা মদ খাওয়ার টাকা দেয়নি। এই রাগে বাড়ির খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দিল ছেলে। এখানেই থামেনি তাণ্ডব। রীতিমতো কাটারি হাতে নিয়ে গাদার সামনে চলল পাহারা। কেউ নিরস্ত্র করতে এলে দেওয়া হল খুনের হুমকি। মদ্যপ যুবকের দৌরাত্ম্যে ঘুম ছুটেছে বাঁকুড়ার মানকানালি চারির বাগান এলাকার বাসিন্দারা।
[বিয়ের আসরেও সচেতনতার বার্তা, নববধূকে হেলমেট উপহার পুলিশের]
অভিযুক্তর নাম পুচা রায়। সোমবার রাতে বছর আঠাশের যুবকের এমন রুদ্রমূর্তি দেখে এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনার আকস্মিকতা কাটিয়ে এলাকার লোকজন আগুন নেভাতে এলে তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সে। মদ্যপ ছেলের এহেন আচরণে ভয়ে পালিয়ে বাঁচেন প্রতিবেশীরা। ছেলের এই কৃতকর্মে নদিয়া রায়ের লজ্জার শেষ নেই। তিনি মদ্যপ ছেলের নেশার টাকা জোগান দিতে কার্যত দেউলিয়া হয়ে গিয়েছেন। হাতে টাকা পেলেও মদের দোকানে চলে যায়। কার্যত দিনভর সে ভাটিতে পড়ে থাকে। রোজ অন্তত ১০০ টাকার মদ খেত পুচা। টাকা না দিলে চলে তাণ্ডব। কখনও বাড়ির খাবার উলটে দেয়, কখনও ঘর থেকে ডিম নিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রায় সাত বছর ধরে তার নেশায় জেরবার গোটা পরিবার। কোনওরকম চাষবাস করে সংসার চালান নদিয়া রায়। জানা গিয়েছে ৪৫০ টাকা বাকি পড়ে যাওয়ায় ওই যুবককে মদ দিচ্ছিল না দোকানি। তারপরই নতুন করে উৎপাত শুরু হয়। এমনই এলাকার লোকজন অনেক বুঝিয়েও ওই যুবককে বাগে আনতে পারেনি। উলটে তাদের নানা কথা শুনতে হত।
[ব্যারাকপুরে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, ব্যবসায়ীকে গুলি]
আগুন লাগার খবর পেয়ে গ্রামীণ পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা থানা ও দমকলে খবর দেয়। দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নেভায়। পুলিশ আসতে দেখে গা ঢাকা দেয় ওই মদ্যপ ছেলে। ঘটনার কথা অজানা নয় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আরতি রায়ের। তিনি জানান ঘটনার সময় পুচার রুদ্রমূর্তি দেখে তার কাছে ঘেষেনি কেউ। তবে ওই এলাকায় মদের ভাটি নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের। তাদের বক্তব্য, বেআইনি কারবার চলতে থাকায় বিপথগামী হচ্ছে নতুন প্রজন্ম।
ছবি: সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়
[বিয়ের এক মাসের মধ্যেই দম্পতির রহস্যমৃত্যু, উঠছে খুনের অভিযোগ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.