সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: প্রায় দু’দিনের মাথায় ঠিক হল দুর্গাপুর ব্যারাজের এক নম্বর লক গেট। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতির কাজ শেষ করে সেচ দপ্তর ও ডিভিসি। জলাধারের পরিস্থিতি বোঝার জন্য পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়া হয়। রবিবার সন্ধের দিকে দুর্গাপুরের বাসিন্দাদের জল সঙ্কট ও কারখানার জল সরবরাহের সমস্যা মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে।
[উপনির্বাচনে ভাঙল বাম-কংগ্রেস জোট, সবংয়ে প্রার্থী ঘোষণা সিপিএমের]
রবিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ কাজ শেষ করেন কর্মী ও ইঞ্জিনিয়াররা। শনিবার সন্ধেয় ডিভিসিকে বলা হয়েছিল জল ছাড়ার জন্য। কারণ মেরামতির লকগেট কতটা জলের চাপ নিতে পারছে তা বুঝতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন সকালে সেচ দপ্তর ও ডিভিসির ইঞ্জিনিয়াররা শেষবারের মতো পর্যবেক্ষণ করেন। সেই মতো সকালে প্রথমে পাঞ্চেত জলাধার থেকে ১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। তারপর দফায় দফায় জল ছাড়া হতে থাকে। ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ব্যারাজের ১৯ নম্বর গেটের কাছে একটি ভাসমান গেট রয়েছে। মেরামত হওয়ার পর এক নম্বর লকগেটকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য ওই গেট আনা হবে। জলের উচ্চতা ২১২ ফুট হলে ওই ভাসমান গেটটিকে বসানো হবে। এই নিয়ে সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যতটা জল চাওয়া হবে ততটাই জল দেবে ডিভিসি। সেইমতো দুর্গাপুর ব্যারাজে ধাপে ধাপে জল ঢোকানো হচ্ছে।
[মাঝপথে রাস্তা শেষ, অসম্পূর্ণ ফ্লাইওভার থেকে পড়ে আরোহীদের বেঘোরে মৃত্যু]
লকগেট মেরামতি হওয়ার পর ধীরে ধীরে জলস্তর বাড়ছে ব্যারাজে। গত দু দিন জল বেরিয়ে যাওয়ায় দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দারা তীব্র জলসঙ্কটে পড়েন। কার্যত বন্ধ হয়ে যায় কলকারখানার উৎপাদন। এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সন্ধে হয়ে যাবে বলে মনে করছে ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ।
ছবি: উদয়ন গুহ রায়