Advertisement
Advertisement
করোনা সেল

চৈত্র সেলের মতো ‘করোনা সেল’-এর পোস্টার! পুর প্রশাসনের নজরে পড়তেই বিতর্কে বস্ত্র ব্যবসায়ী

অতিমারীর সময়ে এমন ব্যবসায়িক ফন্দিকে মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না সাধারণ মানুষ।

Retail cloth shop triggered controversy due to 'Corona Sale' poster
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:August 4, 2020 10:02 am
  • Updated:August 4, 2020 11:19 am

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: চৈত্র সেলের মতো ‘করোনা সেল’! কথাটা খানিকটা অদ্ভুত ঠেকলেও এটাই যেন বাস্তব হয়ে উঠেছিল। পুরুলিয়ার ঝালদা (Jhalda, Purulia) পুর শহরের একটি কাপড় দোকানে হলুদ রঙের এই পোস্টার ঝুলিয়ে কম দামে পুরনো জিনিসপত্র বিক্রি করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়। কিন্তু বিতর্কে পড়ে যাওয়ায় ঝালদা পুর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সোমবার ‘করোনা সেল’-এর সব পোস্টার খুলে দিতে বাধ্য হন ওই কাপড় ব্যবসায়ী।

ঝালদা-রাঁচি সড়কপথে ঝালদা বাসস্ট্যান্ড থেকে পুরনো থানা যাওয়ার রাস্তায় একটি কাপড়ের দোকানে ‘করোনা সেল’-এর একাধিক পোস্টার ঝুলিয়ে চৈত্র সেলের মতোই নানান অফার দিচ্ছিলেন ব্যবসায়ী! কিন্তু তা পুর প্রশাসনের নজরে পড়তেই বিপাকে পড়ে যান তিনি। আসলে বিশ্ব জুড়ে এই ছোঁয়াচে মারণ রোগের ভীতিতে কাঁটা মানুষজন। তাই সেই বিষয়টিকে নিয়ে কাপড়ের দোকানে চৈত্র সেলের মতো অফারের ছড়াছড়িতেই বিতর্ক দানা বাঁধে। এরপরেই খুলে নেওয়া হয় করোনা সেলের ওই পোস্টার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: গভীর নিম্নচাপের জেরে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে, চিন্তা আমফান বিধ্বস্ত এলাকায়]

এই প্রসঙ্গে ওই কাপড় ব্যবসায়ী সন্দীপ আগরওয়াল জানান, “বাংলা বছরের শেষে ‘চৈত্র সেল’ বলে পুরনো জিনিসপত্র কম দামে বিক্রি করে থাকি আমরা। সেইসময় কাপড় কেনাকেটা করতে ক্রেতাদের ভিড় জমে যায়। তাই ‘করোনা সেল’-এর পোস্টার ঝুলিয়ে পুরনো জিনিসপত্রগুলি ভিন্ন ছাড় দিয়ে বিক্রি করছিলাম। ওই সেলের পোস্টার নিয়ে এমন বিতর্ক হবে ভাবতে পারিনি। তাই খুলে দিয়েছি।”

Advertisement

আসলে এই ঝালদাতেও ফি দিন হু-হু করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই পথে-ঘাটে যাতায়াতের সময় এমন ‘করোনা সেল’ পোস্টারকে ভালভাবে মেনে নিতে পারেননি এই পুর শহরের সাধারন মানুষজন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কানাঘুষো চলতে থাকে। ঘটনায় ঝালদা পুরসভার প্রশাসক প্রদীপ কর্মকার বলেন, “ওই ব্যবসায়ী চৈত্র সেলের স্টাইলে ‘করোনা সেল’-এর পোস্টার টাঙিয়ে নিজের ব্যবসা বাড়িয়ে নেওয়ার যে ফন্দি আঁটেন তা একেবারেই ঠিক ছিল না। ওই পোস্টার খুলে দিতে বলা হয়েছে।”

ছবি- অমিত সিং দেও

[আরও পড়ুন: মাঝরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বারুইপুর কাছারি বাজারে, ভস্মীভূত শতাধিক দোকান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ