Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভাঙা, জীর্ণ বাড়িই কাটোয়ার ‘এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ’

১৯৭৮ সালে এই ভাড়াবাড়িতে স্থাপিত হয় এমপ্লয়মেণ্ট এক্সচেঞ্জ অফিসটি৷

Rickety building housing katwa employment exchange
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 28, 2017 1:40 pm
  • Updated:January 28, 2017 1:40 pm

নিজস্ব সংবাদদাতা, কাটোয়া: চার দশক ধরে ভাড়াবাড়িতে চলে আসছে কাটোয়ার এমপ্লয়মেণ্ট এক্সচেঞ্জ অফিস৷ বাড়িভাড়া এখনও ২৪০ টাকা৷ মালিক পক্ষ মেরামতের কাজ করান না৷ সংস্কারের অভাবে অফিসের বিল্ডিংটি ভগ্নপ্রায়৷ ঝুঁকি নিয়েই ভগ্নপ্রায় বাড়িতে অফিস চলে৷ স্থানীয়দের আশঙ্কা, যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে৷ দফতরের আধিকারিক ভিক্টর রায় বলেন, “আমাদের এই অফিস বিল্ডিংয়ের খুবই বিপজ্জনক অবস্থা দাঁড়িয়েছে৷ যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে৷ অফিসে আরও সমস্যা রয়েছে৷ বাড়িওয়ালাদের জানিয়েছি৷ মহকুমাশাসকের কাছেও আবেদন করেছি৷” কাটোয়ার মহকুমাশাসক খুরশিদ কাদরি বলেন, “বিষয়টি জানি৷ চেষ্টা হচ্ছে যাতে ওই অফিসের নতুন ভবনের ব্যবস্থা হয়৷”

(আউশগ্রাম থানায় ব্যাপক ভাঙচুর, জ্বলল আগুন)

কাটোয়া পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় বাগদি পাড়ায় এমপ্লয়মেণ্ট এক্সচেঞ্জ অফিস৷ এমনিতেই সরু অপরিসর গলিপথে অফিসে যেতে হয়৷ তার ওপর কার্যত এক পোড়ো বাড়িতে অফিস চলছে৷ স্থানীয়রা জানান, সাধারণ মানুষ অফিস ভবনের বিপজ্জনক অবস্থা দেখে অফিসে আসতেই ভয় করেন৷

Advertisement

(সঙ্গিনী ও এলাকা দখলের লড়াইয়ে শেষে প্রাণ গেল দুই বাইসনের)

দফতর সূত্রে খবর, ১৯৭৮ সালে এই ভাড়াবাড়িতে স্থাপিত হয় এমপ্লয়মেণ্ট এক্সচেঞ্জ অফিসটি৷ দোতলা ভবন৷ নিচে ও ওপরতলা মিলে ৪টি ঘর রয়েছে৷ প্রায় ১৭০০ স্কোয়ারফুট ছাদের তলায় এই অফিসভবন৷ অফিসসূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া এমপ্লয়মেণ্ট এক্সচেঞ্জ অফিসে মোট ১৩ জন কর্মী রয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে একজন আধিকারিক, করণিক ৬ জন, ৩ জন গ্রূপ ডি কর্মচারী, একজন সুইপার, ১ জন পিওন এবং একজন পরিদর্শক রয়েছেন৷ অফিস সূত্রে খবর, স্থাপিতকাল থেকেই অফিসভবনের সংস্কারের কাজ হয়নি৷ বর্তমানে ভিতরে বাইরে পলেস্তারা খসে পড়ছে৷ দেওয়ালে বড় বড় ফাটল৷ আগাছা জন্ম নিয়েছে৷ বৃষ্টি পড়লেই ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ে৷

Advertisement

আধিকারিক ডিক্টর রায় জানান, শুধু ভবনের দুর্দশাই নয়৷ অফিসে পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই৷ শৌচাগার ব্যবহারের অযোগ্য৷ চরম অসুবিধাজনক. পরিবেশের মধ্যে অফিস চালাতে হয়৷ নথিপত্রও সংরক্ষণ করে রাখা দুরূহ হয়ে পড়েছে৷ দফতর সূত্রে খবর, পূর্বে এই ভবনের মালিক ছিলেন কাটোয়ার খাজুরডিহি এলাকার এক ব্যক্তি৷ বর্তমানে তিনি ভবনটি বিক্রি করে দিয়েছেন৷ ২ বছর আগে চারজন মিলে এই ভবন কেনেন৷ তাঁদের মধ্যে বুদেব মণ্ডল ও শঙ্কর মাজি বলেন, “৮ শতক জায়গার ওপর দোতলা ভবনের ভাড়া পাই মাত্র ২৪০ টাকা৷ সেই চার দশক আগের রেট৷ এই সামান্য টাকায় কীভাবে বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ হবে তা আমাদের জানা নেই৷”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ