সুব্রত বিশ্বাস: রাজ্য জুড়ে মদ নিষিদ্ধ করেছে নীতিশ কুমার সরকার। সরকারি সাফল্য বলেই এ খবর প্রচারিত হয়। কিন্তু আদতে মদের রমরমা কমছে না বিহারে। পুলিশের চোখ এড়িয়ে দেদার চলছে মদের আমদানি। আর তার জন্য করিডর করা হয়েছে হাওড়া-কলকাতাকেই। সম্প্রতি হাওড়া স্টেশনের চার ও পাঁচ নং প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রচুর বিদেশি মদ উদ্ধার করল আরপিএফ। মদের বোতলগুলি বিহারেই পাচার করার ছক ছিল বলে জানা যাচ্ছে।
[ কলকাতা বিমানবন্দরে অভিনেতা কৌশিক সেনকে হেনস্তা, গ্রেপ্তার ১ ]
খাতায়-কলমে বিহারে মদ নিষিদ্ধ। রাজ্যের সাফল্যে গোটা দেশ জুড়েই মদ নিষিদ্ধ করার ডাক দিয়েছিলেন নীতিশ কুমার। কিন্তু এই সাফল্য যেন অনেকটা অলীক কল্পনায়। বাস্তব এই যে, সরকারের চোখে ধুলো দিয়ে মদ পাচার হচ্ছে বিহারে। পৌঁছে যাচ্ছে বিহারের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অভিজাত এলাকাতেও। মদ পেতে চোরাচালানকারীদের উপরই ভরসা। তাই গাঁটের কড়ি বেশি ফেলতেও কসুর করছেন না বিহারবাসী। তাদের উৎসাহেই রেলের বিভিন্ন শাখায় রীতিমতো সক্রিয় চোরাচালানের চক্র। বিহারমুখী ট্রেনগুলিতে রাতের অন্ধকারে পাচার হচ্ছে মদ। এর আগেও অভিযান করে মদ উদ্ধার হয়েছে। সম্প্রতি সে ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হল।
[ বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিপত্তি, ছুটির সকালে শিয়ালদহে ব্যাহত ট্রেন চলাচল ]
আরপিএফ সূত্রে খবর, বিহারে মদ পাচারের ক্ষেত্রে হাওড়া ও কলকাতাকেই করিডর করা হয়েছে। আইনত ট্রেনে মদ পরিবহণ নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও চোরাগোপ্তা চলছে মদের চালান। রবিবার রাতে হাওড়া স্টেশনের চার ও পাঁচ নং স্টেশনে টহল দেওয়ার সময়ই এ ব্যাপারে সন্দেহ হয় আরপিএফ-এর। তাঁরা এগিয়ে গেলেই ব্যাগ ফেলে চম্পট দেয় চোরাচালানকারীরা। দুটি ব্যাগ থেকে বেশ কয়েক বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়।তদন্তের সূত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে। আরপিএফ মনে করছে, চোরাচালানের সঙ্গে রেলের কর্মচারীদের একাংশই প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। মদ পাচার হচ্ছে জেনেবুঝেও তাঁরা এ ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকছেন। কারণ অবশ্যই মোটা টাকার লোভ। রেলকর্মীদের সহায়তা ছাড়া এভাবে মদ পাচার হতে পারে না বলেই মনে করা হচ্ছে। মদ পাচারের ক্ষেত্রে বেশ কয়েক ধরনের প্রক্রিয়ারও খোঁজ পেয়েছে আরপিএফ। কখনও ওষুধের নাম করে মদ চালান হচ্ছে। কখনও আবার পার্সেল ভ্যানের ভিতর মদের বোতল প্যাকেট করে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দুই ক্ষেত্রেই রেল কর্মীদের সহায়তা জরুরি।আর তাই সর্ষের ভিতরই ভুত আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
[ গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ‘ধন্যি মেয়ে’র অভিনেতা পার্থ মুখোপাধ্যায় ]
বিহারগামী ট্রেনে মদ পাচার তাই রীতিমতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে। বেশ কয়েকটি চোরাচালান চক্র এ ব্যাপারে সক্রিয় বলেই খবর পেয়েছে আরপিএফ। চক্রের পাণ্ডাদের ধরতে এখন তৎপর রেলওয়ে পুলিশ।