সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর বিসর্জন ফর্মুলা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে বিজেপি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। একধাপ এগিয়ে পুজো কমিটিগুলিকে কার্যত নির্দেশিকা অগ্রাহ্য করার আবেদন জানিয়েছে আরএসএস। পুলিশের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে এই সংগঠন। কেন পুজো কমিটিকে ১ অক্টোবর নিরঞ্জনের অনুমতি দেওয়া হবে না তা নিয়ে আরএসএস প্রশ্ন তুলেছে। সুর চড়িয়েছে হিন্দু সংহতিও।
একই দিনে দুই ধর্মের অনুষ্ঠান। সংঘাত এড়াতে গত বছরের মতো মহরমের দিন বিসর্জন পর্ব বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিল বিজেপি। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুলল আরএসএস। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পশ্চিমবঙ্গ শাখার মুখপাত্র জিষ্ণু বসুর অভিযোগ, হিন্দুদের রীতি-নীতিকে তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়াতে কৌশলে পুলিশকে বিঁধেছেন জিষ্ণু। পুলিশের কাছে কতগুলো পুজো কমিটি এবার মহরমের জন্য ভাসানের অনুমতি পেল না তা জানতে চান এই আরএসএস নেতা। বিজেপির সহযোগী আরও একটি সংগঠন হিন্দু সংহতিও হুঙ্কার ছেড়েছে। হিন্দু সহতির সভাপতি তপন ঘোষের বক্তব্য, এই ঘটনা হিন্দুদের ওপর হিংসার মতো। এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছি। পুজো কমিটিগুলির কাছে আমাদের আবেদন তাঁরা হিন্দু নিয়ম নেমে বিসর্জনের ব্যবস্থা করুন। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মানার কোনও কারণ নেই। চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত কোনওভাবে মানা হবে না।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বিসর্জন নিয়ে কিছু নিয়ম নির্ধারণ করে দেন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, দশমীর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাড়ি ও ছোট পুজো কমিটি প্রতিমা বিসর্জন করতে পারবে। ১ অক্টোবর মহরম। ওইদিন বিসর্জন বন্ধ রেখে ২ অক্টোবর থেকে লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন অর্থা ৪ অক্টোবর পর্যন্ত আবার নিরঞ্জন পর্ব চলবে। সেরা প্রতিমা নিয়ে গত বছরের মতো ৩ অক্টোবর রেড রোডে হবে কার্নিভাল। মহরমের শোভাযাত্রা এবং দুর্গাপুজোর নিরঞ্জন নিয়ে যাতে কোনও অশান্তি না হয় তার জন্য এই সিদ্ধান্ত বলে জানায় প্রশাসন। তবে বিরোধী বিজেপি এবং অন্যান্য সংগঠনের মনোভাবে স্পষ্ট তারা ছেড়ে কথা বলবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.