রাজা দাস, বালুরঘাট: সদ্যোজাতর কান কেটে ফেলেছেন চিকিৎসকরা। এই গুজবে দিনভর সরগরম রইল বালুরঘাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। বিষয়টি হাসপাতালের সুপার পর্যন্ত গড়ানোর পরই শুরু হয় তদন্ত। দেখা যায়, সদ্যোজাত শিশুপুত্রের কান কাটা যায়নি। জন্মের পর সদ্যোজাতর শরীরে যে রক্ত লেগে থাকে, তা ঠিকভাবে পরিষ্কার না হওয়াতেই বিপত্তি।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার পাঞ্জুল এলাকার বাসিন্দা সূর্যমণি ওঁরাও।দিন দুয়েক আগে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হিলির গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি হন ওই গৃহবধূ। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বালুরঘাট সুপার স্প্যেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বুধবার রাতে শিশুপুত্রের জন্ম দেন সূর্যমণি। বৃহস্পতিবার ভিজিটিং আওয়ার্সে শিশুটিকে দেখতে যান পরিজনরা। তাঁদের মধ্যেই কেউ বলে ওঠেন সদ্যোজাতর কান কাটা। চিকিৎসকের গাফিলতিতেই এমন ঘটনা ঘটেছে। এমন খবর চাপা থাকে না। কানা কাটা গিয়েছে সদ্যোজাতর, হাসপাতাল জুড়ে এই খবর চাউর হতেই উত্তেজনা ছড়ায়। চিকিৎসকদের গাফিলতির অভিযোগ যায় হাসপাতাল সুপার তপন কুমার বিশ্বাসের কাছে। তিনি ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দেন।
[ছন্দে দাড়িভিট হাই স্কুল, নির্বিঘ্নেই মিটল প্রথম দিনের টেস্ট পরীক্ষা]
এরপর বিকেলের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন হলে দেখা যায়, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। তপনবাবুর পালটা দাবি, হাসপাতালের বদনাম করতেই কেউ বা কারা এই গুজব রটিয়েছে। হাসপাতাল সুপারের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর শিশুটির বাবার খোঁজ শুরু হয়।তিনিই নাকি সুপারের কাছে কান কাটার অভিযোগ করেছিলেন। তবে তাঁর সন্ধান মেলেনি। এ নিয়ে সদ্যোজাতর মা সূর্যমণি জানান, কান কাটার খবর মিথ্যে। বরং তিনি ও তাঁর সন্তানের অবস্থা আগের থেকে অনেকটা ভাল।
[ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহারে ‘না’, নির্যাতিতাকে মারধর অভিযুক্তের পরিবারের]