সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেলফির ফাঁদে পড়ে প্রাণহানির ঘটনায় দুনিয়ায় সবার আগে ভারত। এই লজ্জার পরিসংখ্যান বুঝিয়ে দেয় ছবি তোলার জন্য আমরা কতটা কাণ্ডজ্ঞানহীন হয়ে পড়ি। খড়গপুর আইআইটির এক অধ্যাপকও এবার সেলফির বলি হলেন। নৌবিদ্যা এবং সমুদ্র বিজ্ঞানের অধ্যাপক জয়দীপ ভট্টাচার্য ছেলেকে নিয়ে সেলফি তুলতে চেয়েছিলেন। পা হড়কে খাদানে পড়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে সেলফি তুলতে গিয়ে মারা যান অধ্যাপক।
[রাম রহিমের ভক্ত বিরাট-ধাওয়ানরাও, ভাইরাল ভিডিও]
ছুটির দিনে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে গ্রামীণ এলাকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন জয়দীপ ভট্টাচার্য। সকাল ১০টা নাগাদ আইআইটির বি-২২৭ এর আবাসনে থেকে বেড়িয়ে যান। গন্তব্য ঘোলঘেরিয়া। ওই এলাকার আশেপাশে প্রচুর মোরাম এবং পাথরের খাদান রয়েছে। বর্ষা হওয়ায় সেখানে জল টইটুম্বুর হয়ে ছিল। ৪ বছরের ছেলে উড়ান এবং ২ বছরের মেয়ে শিরিনকে সেই প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখাচ্ছিলেন অধ্যাপক ভট্টাচার্য। এই সময় তাঁর ছবি তোলার ইচ্ছে হয়েছিল। সেলফি তুলতে গিয়ে একটি খাদানে পড়ে যান জয়দীপবাবু এবং তাঁর ছেলে উড়ান। এই সময় কয়েকজন মহিলা জমিতে কাজ করছিলেন। তারাই চিৎকার শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন। তাদের সহযোগিতায় চার বছরের শিশুপুত্রকে খাদান থেকে তোলা গেলেও অধ্যাপককে উদ্ধার করা যায়নি। পরে খড়গপুর থানার পুলিশ যখন জয়দীপ ভট্টাচার্যকে উদ্ধার করে তখন তিনি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছিলেন। স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে ওই অধ্যাপককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
[কার ‘খুঁটি’র কত জোর, পুজোকে ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত নিউ আলিপুর]
আইআইটি খড়গপুর সূত্রে জানা গিয়েছে ওই অধ্যাপক ছুটির দিনে নিয়মিত ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বাইরে বেড়াতে যেতেন। ঘোলঘেরিয়ার কাছে প্রাকৃতিক পরিবেশে একটি বাড়িও বানিয়েছিলেন জয়দীপবাবু। এদিন প্রথমে তিনি সেই বাড়িতে যান। এরপর সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তারপরই এই বিপত্তি ঘটে। ঘোলঘেরিয়ার বাসিন্দারা জানিয়েছেন ওই অধ্যাপককে তারা মাঝেমধ্যে জঙ্গলে এবং খাদানগুলিতে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ঘুরতে দেখা যেত। তবে ছবি তোলার লোভে আইআইটির মতো এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপকের এমন আচরণ নিয়ে অবাক অনেকেই।