সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: আগের রাতেই গ্রামের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা চার পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। পরের দিন সকালেই দেখা গেল, পুরুলিয়ার বাঘড়া গ্রামে ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের প্রায় চারশ মিটার দূরেই চলছে পাড়া ক্রিকেট। এমনকী সেন্টারের পাশেই জটলা। গাছতলায় তাসেরও আড্ডা! কারও মুখ ঢাকা নেই। অথচ ওই কেন্দ্র Containment Zone।
রবিবার সকালে পুরুলিয়া দু’নম্বর ব্লকের গোলামারা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঘড়া গ্রামের ছবি দেখে তাজ্জব হয়ে যেতে হয়। এমনও দেখা যায়, বাঘড়া গ্রামের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা পরিযায়ীরাও একেবারে গেটের কাছে ঠাসাঠাসি হয়ে পরিজনদের সঙ্গে কথা বলছেন। সেখানেও ছিল ব্যাট, বল, উইকেট। তার পাশের গ্রাম ছররা-দুমদুমী গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বহালেও ছবিটা ছিল প্রায় একই। Containment Zone-এর পাশেই দোকান খুলে দিব্যি চলতে থাকে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ। বাফার জোনে ঘুরতে থাকে টোটোও।
[আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংক্রমণ, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বাংলার করোনা গ্রাফ]
তবে ব্লক প্রশাসন ও পুলিশের টিম গ্রামে পা রাখতেই বদলে যায় ছবিটা। সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই ওয়েল্ডিং দোকান। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, সংক্রমিত এলাকা-সহ বাফার জোনের বিধিনিষেধ।
আসলে পুরুলিয়ার গাঁ-গঞ্জে সদ্যই করোনা ভাইরাস থাবা বসানোয় বেশ
উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন। বারবার প্রশাসন তথা পুলিশের তরফে সাবধানতা ও সতর্কতার কথা বলা হলেও, তা যেন কেউ কানেই তুলছেন না। আর তাতেই চাপ বাড়ছে প্রশাসনের। পুরুলিয়া দু’নম্বর ব্লকের বিডিও বিজয় গিরি বলেন, “আমরা বাঁশ দিয়ে ঘিরে Containment Zone ও বাফার জোনের সরকারি নির্দেশিকা
জানিয়ে দিয়েছি। কী করবেন, আর কী করবেন, তাও বলে আসা
হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: লকডাউন অমান্য করার অভিযোগ, অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা পুলিশের]
গত শনিবার রাতে এই ব্লকের বাঘড়ায় চার, দক্ষিণ বহাল ও ঘোঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিহলিতে একজন করে দু’জন সহ মোট ছ’জন পরিযায়ীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁরা সকলেই মুম্বই ফেরত। তারপরেও সচেতন হয়নি এই গ্রাম।
ছবি: সুনীতা সিং।