ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: নিজে ‘বিবাহিত’, এই পরিচয় গোপন করে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীর সঙ্গে দীর্ঘদিন সহবাসের অভিযোগ। কাঠগড়ায় খোদ রাজ্য পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টরের (SI) বিরুদ্ধে। বারাসতের এই ঘটন তরুণীর আরও অভিযোগ, তিনি থানার দ্বারস্থ হলে থানা এ বিষয়ে উদাসীন ছিল। পরে তিনি বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
বারাসতের (Barasat) এই ঘটনায় অভিযোগের তিরে অরিজিৎ চট্টোপাধ্যায় নামে এক রাজ্য পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বারাসাত থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা মহিলা। জানা গিয়েছে, ফেসবুকের মাধ্যমে অরিজিতের সঙ্গে বেহালার ওই তরুণীর পরিচয় হয় ২০১৭ সালে। তিনি রিয়েল এস্টেট সংস্থায় কর্মরত। সেসময় তরুণীর ডিভোর্সের মামলা চলছিল। সেই সূত্র ধরে তাঁকে পরামর্শ দেওয়ার অছিলায় ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করে। নিজেকে অবিবাহিত বলে পরিচয় দিয়ে ঘনিষ্ঠ হতে বেশি সময় নেয়নি অরিজিৎ। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হত অরিজিৎ। এরপর বিয়ের কথা উঠলেই লাগাতার টালবাহানা শুরু করে রাজ্য পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর।
[আরও পড়ুন: একমাত্র স্মার্টফোন চুরি যাওয়ায় অনলাইন ক্লাসে সমস্যার আশঙ্কা, আত্মঘাতী স্কুলছাত্রী]
সন্দেহ হয় তরুণীর। তিনি এ নিয়ে অরিজিৎকে চাপ দিলে অভিযোগ, অরিজিৎ তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। ধর্ষণের চেষ্টাও চলে বলে অভিযোগ। এরপরেই তরুণী খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন অরিজিতের আসল পরিচয়। জানা যায়, বারাসাতে এই পুলিশ কর্মীর স্ত্রী এবং এক পুত্রসন্তান আছে। এসব জানার পরই তরুণী বারাসত থানার দ্বারস্থ হন। কিন্তু অভিযোগ, থানায় সবটা জানালেও অভিযোগ এই বিষয়ে উদাসীন ছিলেন কর্তব্যরত আধিকারিকরা। ওই তরুণী শুক্রবার বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পুলিশের আশ্বাস, গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তরুণীর দাবি, তাঁর সঙ্গে একজন পুলিশকর্মী যা অন্যায় করেছেন, তার সুবিচার চাই।