Advertisement
Advertisement
Suicide

প্রেমে প্রত্যাখ্যানের বেদনা ভুলতে আত্মঘাতী যুবক, লিখে গেলেন মৃত্যুর তারিখ

প্রেমিকার পরিবার মেনে না নেওয়ায় উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে।

Siliguro youth kills self after rejection of girl friend's family,wrote birthday and date of demise | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 11, 2024 9:55 pm
  • Updated:January 12, 2024 1:30 pm

অভ্রবরণ চট্টোপাধ্য়ায়, শিলিগুড়ি: প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে নিজের মৃত্যুর তারিখ লিখে  আত্মঘাতী যুবক! ইনস্টাগ্রামে (Instagram) নিজের জন্মের তারিখের পাশাপাশি মৃত্যুরও তারিখ লিখে নিজেকে শেষ করলেন শিলিগুড়ির (Siliguri) সাহিল মজুমদার। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় অরবিন্দ পল্লি এলাকায়। মৃত যুবকের বয়স মাত্র ২৬ বছর। 

দীর্ঘ কয়েক বছর এক যুবতীর সঙ্গে প্রেমের (Love) সম্পর্ক ছিল সাহিলের। কিন্তু দিন কয়েক আগেই তাঁদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। এর পর থেকে সাহিল মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। কথাবার্তাও কম বলতেন, কোথাও যেতে চাইতেন না। তবে বন্ধুরা তাকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাতেও কিছু লাভ হয়নি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: খাস কলকাতার রাস্তায় মদ্যপের তাণ্ডব, ভ্যানচালককে ধাক্কার পর গাড়ির উপর নাচ যুবকের!]

অবশেষে মৃত্যুর (Suicide)পথই বেছে নেয় সাহিল। স্বভাবতই সাহিলের গোটা পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়ে। এই এলাকায় তাদের বাড়ি ও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। বুধবার রাত থেকে সাহিলের খবর না পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ফ্ল্যাটে পৌঁছতেই দেখেন, দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। তাঁরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই দেখতে পান সাহিলের ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের অনুমান, বুধবার মধ্যরাতে সাহিল বাড়ি থেকে বেরিয়ে ফ্ল্যাটে এসেই উঠেছিলেন। সেখানেই নিজেকে শেষ করেছেন।

Advertisement

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে সাহিলের বাবা সুব্রত মজুমদার বলেন, “একটি মেয়েকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই অবসাদে ভুগছিল। ওর বন্ধু বান্ধবদের মুখেও একই কথা শুনেছি। তাদেরকে সুইসাইডের কথাও নাকি আগে জানিয়েছে৷ এই ফ্ল্যাটটা খালি থাকে। আমার শাশুড়ি এখানে শাড়ির ব্যবসা করে। সে জন্যই দুপুর নাগাদ ফ্ল্যাটে আসে। তখনই এই ঘটনার কথা জানা যায়।”

[আরও পড়ুন: ফের হামলার আশঙ্কা ইডির? এবার শক্তি বাড়িয়ে অভিযান]

সাহিলের বন্ধু সুপ্রভ চক্রবর্তী জানায় , “বুধবার রাত পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই ছিল। একটি বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। আমিই রাতে তাকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে যাই। বিচ্ছেদের পর ভেঙে পড়েছিল। আমরা তাকে বোঝাই যাতে কোনও ভুল কাজ না করে। তবে ইনস্টাগ্রাম থেকে আমাদের সকলকে ব্লক করে দিয়েছে বলে এই লেখা চোখে পড়েনি।” জানা যায়, মেয়েটির পরিবার মেনে নেয়নি সাহিলকে। সেই নিয়েই বেশ কয়েকদিন ধরেই দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। তাই বৃহস্পতিবার সাহিল তার ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে লেখে ২২-০৬-৯৭ থেকে ১১-০১-২৪। পেজে শুধুমাত্র তার প্রেমিকার বেশ কয়েকটি ছবি। তার পর সব শেষ!

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ