সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তদন্তভার নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অ্যাকশন। মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদে বাবা-ছেলে খুনে সিটের হাতে গ্রেপ্তার মাস্টারমাইন্ড ইনজামুল হক। সুতি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সকলেই ‘পাড়ার ছেলে’ বলেই দাবি এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতীম সরকারের।
কার উসকানিতে মুর্শিদাবাদে অশান্তি, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারের তরফে সিট গঠন করা হয়েছে। আর তারপরই বুধবার সন্ধেয় প্রথম বৈঠক সারে ওই বিশেষ তদন্তকারী টিম। সামসেরগঞ্জ থানাতেই হয় বৈঠক। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতীম সরকার-সহ সিটের ৯জন সদস্য। বৃহস্পতিবার সকালে সিটের কয়েকজন সদস্য জাফরাবাদে নিহত বাবা ও ছেলের বাড়িতে যান। ছিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।
বিকেলের দিকে সাংবাদিক বৈঠক করেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতীম সরকার। তিনি বলেন, “বাবা-ছেলেকে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। কালু, দিলদারকে আগেই গ্রেপ্তার হয়। সিট ইনজামুল হককে সুতির সুলিপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে। ধৃত প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করেছিল। খুনের ঘটনার পর এলাকায় বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করা এবং বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেছিল সে। যারা খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের সকলকেই ধরা হবে। কেউ রেহাই পাবে না। তাদের শাস্তি নিশ্চিত করবে রাজ্য পুলিশ।” মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ২৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, “সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে। গত চার দিনে জেলায় নতুন করে অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। শমসেরগঞ্জ, সুতি এবং ধুলিয়ানের মতো উপদ্রুত এলাকায় বৃহস্পতিবার ৭০ শতাংশ দোকানপাট খুলে গিয়েছে। শুক্র বা শনিবারের মধ্যে বাকি দোকানও খুলে যাবে।” ঘরছাড়াদের আশ্বাস, “যাঁরা ঘর ছেড়েছেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে যাতে তাঁরা আবার আগের মতো সুস্থ ভাবে জীবনযাপন করতে পারেন নিজেদের বাড়িতে, পুলিশ সেই ব্যবস্থা করবে। দু-একদিনের মধ্যেই সকলকে ফিরিয়ে আনা হবে। ওখানে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্যাম্প বসেছে। ফলে কারও ভয়ের কারণ নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.