শুভদীপ রায়নন্দী, শিলিগুড়ি: বছর দুয়েক ধরে নিখোঁজ ছিলেন। থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ছেলে। সোমবার সকালে তাঁর বাড়ির কুয়ো থেকে আস্ত একটি কঙ্কাল উদ্ধার করল পুলিশ। মিলেছে এক চশমাও। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে শিলিগুড়িতে। ওই বৃদ্ধার ছেলের দাবি, তাঁর মা-কে খুন করে বাড়ির কুয়ো ফেলে দিয়েছে প্রতিবেশী। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ছেলে বিমলেশ মৌলিক দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। শিলিগুড়ি শহরের দেশবন্ধুপাড়ায় তাঁর বাড়িতেই থাকতেন বছর পঁচাত্তরের বৃদ্ধা শেফালীদেবী। বছর দুয়েক আগে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। বিমলেশ মৌলিকের দাবি, তাঁদের প্রতিবেশী শ্রীমোহন শিকদার নিজের বাড়িতে অবৈধ নির্মাণ করছিলেন। শিলিগুলি পুরনিগমে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। সেই আক্রোশেই তাঁর মা-কে অপহরণ করেছেন শ্রীমোহন। স্রেফ মুখের কথা নয়, থানায় ওই বৃদ্ধাকে অপহরণের অভিযোগও দায়ের করেছিলেন তাঁর ছেলে। এমনকী, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ হাই কোর্টে মামলাও করা হয়। শিলিগুড়ি কমিশনারেটকে রীতিমতো তিরস্কারও করেছিল আদালত। বিমলেশ মৌলিকের স্ত্রীর দাবি, দিন কয়েক আগে যখন বাড়িতে পুজো করছিলেন, তখন কুয়োতে ভারী কিছু পড়ার শব্দ পান। বাইরে বেরিয়ে দেখেন, তাঁদের বাড়ির কুয়ো থেকে লাঠি কিছু একটি তোলার চেষ্টা করছেন প্রতিবেশী শ্রীমোহন শিকদার। তিনি আবার পেশায় পুলিশকর্মী। ঘটনাটি পুলিশকে জানান শেফালিদেবীর ছেলে বিমলেশ। কুয়োটি পরিষ্কার করানোর পরামর্শ দেয় পুলিশ। বলা হয়, কুয়োর পরিষ্কারের সময়ে পুলিশের পদস্থ আধিকারিকও হাজির থাকবেন। সোমবার সকালে পুলিশের উপস্থিতিতে যখন কুয়ো পরিষ্কার করা হচ্ছিল, তখন কুয়ো থেকে একটি আস্ত মানুষের কঙ্কাল পাওয়া যায়। ঘটনাটি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় শিলিগুড়ি দেশবন্ধুপাড়ায়।
শেফালি মৌলিকের পরিবারের দাবি, ওই বৃদ্ধাকে খুন করে মৃতদেহ তাঁদেরই বাড়ি কুয়োতে ফেলে দিয়েছেন প্রতিবেশী শ্রীমোহন শিকদার। কুয়ো থেকে একটি চশমা পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই চশমাটি শেফালিদেবীরই বলে দাবি করেছে পরিবারের লোকেরা। এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত শ্রীমোহন শিকদার ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.