Advertisement
Advertisement

দামি কফি উৎপাদনে ব্যবহৃত বিশেষ প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার কাটোয়ায়

আহত অবস্থায় প্রাণীটিকে উদ্ধার করেন বনকর্মীরা৷

Skunk recovered in Katwa

উদ্ধার হওয়া গন্ধগোকুল। ছবি: জয়ন্ত দাস

Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:September 14, 2018 5:34 pm
  • Updated:September 14, 2018 5:34 pm

ধীমান রায়, কাটোয়া: বিশ্বের সব থেকে দামি কফি উৎপাদনে ব্যবহৃত বিলুপ্তপ্রায় গন্ধগোকুল উদ্ধার করল বনদপ্তর৷ দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার এই প্রাণীটি দেখে কার্যত তাজ্জব বনে গিয়েছেন বন আধিকারিরাও৷ কেননা, ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কায় সাধারণ মানের গন্ধগোকুলের দেখা মিললেও উদ্ধার হওয়া প্রাণীটি বিশেষ প্রজাতির গন্ধগোকুল বলে জানা গিয়েছে৷ কাটোয়া শহরের স্টেশন বাজারের কাছে উদ্ধার হয় বিরল প্রজাতির বিশেষ গন্ধগোকুলটি৷ আহত, অবস্থায় ওই প্রাণীটিকে উদ্ধার করেন বন দপ্তরের কর্মীরা৷ শুক্রবার সকালে সেটিকে পাঠানো হয়েছে বর্ধমান শহরের রমনাবাগানে৷

[রাতভর পাহাড় কেটে জাতীয় সড়ক সংস্কার পূর্ত দপ্তরের কর্মীদের]

কাটোয়া মহকুমা বন আধিকারিক সুকান্ত ওঝা বলেন, ‘‘গন্ধগোকুল বা সিভেট ক্যাট বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায়৷ স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে কাটোয়ার স্টেশনবাজার এলাকার রাস্তা থেকে আনুমানিক দু’কেজি ওজনের গন্ধগোকুলটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাণীটি আহত হওয়ায় চিকিৎসা চলছে। প্রাণীটি কীভাবে, কোথা থেকে এল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” বস্তুত, কাটোয়া শহর এলাকায় এই প্রথম বিশেষ গন্ধগোকুল নামের প্রাণীটিকে দেখতে পেয়ে কার্যত তাজ্জব বনে গিয়েছেন বন অধিকারীরাও।

Advertisement

[‘থাবড়ে মুখ ভেঙে দেব’, প্রধান শিক্ষককে হুমকি মহকুমাশাসকের]

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় সাড়ে ন’টা নাগাদ কাটোয়া মহকুমা গ্রন্থাগারের এক কর্মী ক্ষেত্রপাল চট্টোপাধ্যায় সাইকেল চেপে বাড়ি যাওয়ার পথে স্টেশনবাজারের কাছে রাস্তার ধারে এই প্রাণীটি দেখতে পান৷ ক্ষেত্রপালবাবু বলেন, ‘‘প্রাণীটিকে অসুস্থ বলে মনে হচ্ছিল। কয়েকজন ঢিলও ছুড়ছিল। আমি তাদের নিষেধ করি। বনদপ্তরে ফোন করে জানাই। পরে  বনকর্মীরা ওই গন্ধগোকুলটিকে উদ্ধার করে৷’’

Advertisement

[বিয়ে মানেনি পরিবার, অপমানে আত্মঘাতী নবদম্পতি]

জানা গিয়েছে, সিভেট ক্যাট ধুসর বা বাদামি রঙের হয়৷ লম্বায় ১৬ থেকে ৩৪ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। ওজনে দেড় কেজি থেকে ১১ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে৷ আমিষ ও গাছের ফল দু’প্রিয় এদের কাছে।  ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা-সহ দক্ষিণপশ্চিম এশিয়ায় গন্ধগোকুল দেখতে পাওয়া যায়। তবে, বর্তমানে বনাঞ্চল কমে যাওয়ায় গন্ধগোকুলের কদাচিৎ দেখা মেলে।

প্রাণী বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বর্তমানে উৎকৃষ্ট মানের কফি উৎপাদনের জন্য ইন্দোনেশিয়ায় গন্ধগোকুলের বংশবিস্তারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফি সিভেট ক্যাট কফি৷ এই কফি তৈরির পদ্ধতি হল গন্ধগোকুলকে প্রথমে কফি বীজ খেতে দেওয়া হয়। গন্ধগোকুল বেছে বেছে ভাল বীজগুলি খায়। যেসব কফিবিজ হজম করতে পারে না, সেগুলি মলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে। সেগুলি পরিষ্কার করে কফি তৈরি করা হয়৷ গন্ধগোকুলের শরীরের এনজাইমের প্রভাবে ওই কফির অসাধারণ সুগন্ধ তৈরি হয়। এটিই হল সিভেট ক্যাট কফি। আন্তর্জাতিক বাজারে সাধারণ কফির থেকে প্রায় ৬০ গুণ বেশি দাম সিভেট ক্যাট কফির।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ