দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বাঘের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে আমফানে বিধ্বস্ত সুন্দরবনের বিদ্যুৎহীন এলাকাগুলির বাসিন্দাদের মধ্যে হ্যারিকেন বিতরণ শুরু করল স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কারণ, হ্যারিকেন জ্বললে বাঘের হামলা চালানোর সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এই উদ্যোগে খুশি ওই বাসিন্দারা।
আমফান তাণ্ডব চালানোর পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও স্বাভাবিক হয়নি শহর ও শহরতলি। সুন্দরবনের দ্বীপের অবস্থা আরও খারাপ। হাজার হাজার পোস্ট ভেঙে পড়ায় এখনও অন্ধকারে ডুবে বিস্তীর্ণ এলাকা। মাথার উপরের ছাদটুকুও সরেছে বহু মানুষের। ফলে তাঁদের ঠাঁই খোলা আকাশের নিচে। কার্যত বাঘের সঙ্গে ঘর করতে হচ্ছে তাঁদের। ফলে যেকোনও মুহূর্তে বাঘের কবলে পড়তে পারেন তাঁরা। এই অবস্থায় কিছুটা ভরসা জোগাতে পারে আলো। কিন্তু এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। সেই কারণেই বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা দ্বীপে দ্বীপে গিয়ে অন্যান্য ত্রাণের সঙ্গে দিচ্ছেন এই অতি প্রয়োজনীয় হ্যারিকেন।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জঙ্গল লাগোয়া সুন্দরবনের গোসবা ব্লকের ওই পুঁইজালি গ্রামের ৩৫০ জন মানুষের মধ্যে হ্যারিকেন বিতরণ করেন বাসন্তীর কুলতলী মিলন তীর্থ সোসাইটি। শুধু হ্যারিকেন নয়, সঙ্গে উন্নত মানের চাল, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন তাঁরা। এ বিষয়ে মিলন তীর্থ সোসাইটির কর্ণধার লোকমান মোল্লা বলেন, “সুন্দরবনের দ্বীপ গুলিতে সন্ধে নামলেই বাঘ আক্রমনে আতঙ্ক থাকে। হ্যারিকেনের আলো দেখলে বাঘের হামলার সম্ভাবনা কম। তাই এই ব্যবস্থা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.