Advertisement
Advertisement

Breaking News

ফ্রেজারগঞ্জ

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে মিলছে না পর্যাপ্ত খাবার! ক্ষুব্ধ ফ্রেজারগঞ্জের দুর্গতরা

ফ্রেজারগঞ্জের ওই বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে কমপক্ষে ৭০০-৮০০ জন বাসিন্দা রয়েছেন।

People alleged that they don't get food in South 24 Paragana's Fraserganj
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 20, 2020 3:30 pm
  • Updated:May 20, 2020 3:37 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিমধ্যেই দিঘায় আছড়ে পড়েছে আমফান। ক্রমশই শক্তি বাড়িয়ে আরও এগিয়ে আসছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। বাংলায় প্রবল ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। প্রভাব পড়তে পারে সুন্দরবন লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকার। তাই আগেই সুন্দরবনের নদী তীরবর্তী এলাকার বহু মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু দুর্গতদের অভিযোগ, ফ্রেজারগঞ্জের কাছে বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে মিলছে না খাবার। একদিকে আমফানে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা তার উপর খাদ্যাভাবে বিপদে পড়েছেন আশ্রয় শিবিরে বসবাসকারীরা।

আমফান ধেয়ে আসার খবর পাওয়ামাত্রই তৎপর হয় প্রশাসন। শুরু হয় নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার কাজ। ঠিক সেভাবেই ফ্রেজারগঞ্জের কাছের বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার বহু মানুষকে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরাই তাঁদের এই ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে নিয়ে আসে। কেউ কেউ মঙ্গলবার থেকেই আশ্রয় নিয়েছেন। আবার অনেকে বুধবার সকালে এখানে আসেন। বিবিন্ন বয়সের কমপক্ষে ৭০০-৮০০ বাসিন্দা এই শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয় শিবিরে থাকা দুর্গতদের অভিযোগ, ওই বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে ঠিকমতো খাবার পাননি তাঁরা। শিশুদের দুধ, বিস্কুট দেওয়ার কথা ছিল। তবে তাদের দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র বিস্কুট। তাই তার ফলে দুধের শিশুদের কিছুই খাবার দেওয়া যাচ্ছে না। বড়দের জন্য দেওয়া খাবারদাবারের পরিমাণও পর্যাপ্ত নয় বলেও অভিযোগ দুর্গতদের একাংশের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রাণ বাঁচাতে ত্রাণ শিবিরে যেতে নারাজ, শেষ সম্বল আঁকড়ে ভাঙা বাড়িতেই সুন্দরবনের বহু মানুষ]

ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সুন্দরবন এলাকায় আমফানের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। দফায় দফায় বৃষ্টি চলছে। সঙ্গে প্রচন্ড ঝড়ের দাপট রয়েছে বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা, সাগরদ্বীপ কাকদ্বীপ, ডায়মন্ডহারবার এলাকায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন জানিয়েছেন, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। তাদের সঙ্গে জেলা এবং ব্লক প্রশাসনের বিভিন্ন কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তিনি জানান, পূর্ত ও সড়ক দপ্তর, বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীরাও যে যার নির্দিষ্ট জায়গায় নজরদারিতে রয়েছেন। পুলিশের আধিকারিকরা সর্বক্ষণ দুর্গতদের উদ্ধারের জন্য সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলেছেন।

Advertisement

ছবি: বিশ্বজিৎ নস্কর

[আরও পড়ুন: ঘরে ফিরতে লাখ টাকা খরচ! মহারাষ্ট্র থেকে বাংলায় ফিরে সর্বস্বান্ত হলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ