Advertisement
Advertisement
CAA বিক্ষোভ

CAA বিক্ষোভে জ্বলল লালগোলা-কৃষ্ণপুর, পুড়ল একাধিক ট্রেন

বিক্ষোভের জেরে আতঙ্কে স্টেশন ছেড়ে পালিয়ে যান রেলকর্মীরা।

Some people ransacked Lalgola and Krishnapur station
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 14, 2019 8:28 pm
  • Updated:December 14, 2019 8:43 pm

সাবিরুজ্জামান, লালবাগ: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে ফের অগ্নিগর্ভ বেলডাঙা। শনিবার আগুন নেভাতে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের রোষে পুড়ে ছাই হয়ে যায় দমকলের গাড়ি। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কজুড়ে দফায় দফায় চলতে থাকে পথ অবরোধ। কার্যত দুপুর ২টোর পর বেলডাঙা থেকে বহরমপুর এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে যায়। ওই সড়কের বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করে টায়ার পোড়ানো হয়। বিকালের পর থেকে নতুন করে উত্তাল হয়ে ওঠে লালগোলা থানা এলাকাও। পণ্ডিতপুরে বিক্ষোভকারীরা লালগোলা-জঙ্গিপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে। লালগোলা বাজারে পুড়িয়ে দেওয়া হয় পিডব্লুউডি অফিস। পরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় লালগোলা স্টেশনে। কৃষ্ণপুর স্টেশনেও দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভের জেরে লালগোলা-শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।

Train

Advertisement


জেলাজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে শুক্রবার সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চলে বেলডাঙায়। ওই স্টেশনে আগুন লাগিয়ে দেয়। যার জেরে নষ্ট করে যায় সিগন্যালিং ব্যবস্থা এবং মূল্যবান নথিপত্র। পোড়ানো হয় দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বগিতে। শনিবার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আগুন নেভাতে গেলে উন্মত্ত জনতা ওই গাড়িটিও পুড়িয়ে দেয়।

Advertisement

train

অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় পুলিশ মাইক হাতে সাধারণ মানুষকে সংযত থাকার আবেদন জানান। তবে তাতে কান দিতে নারাজ উন্মত্ত জনতা। পুলিশের আবেদনকে তোয়াক্কা না করে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন প্রান্তে টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। বেলা ২টোর পর জাতীয় সড়কের সারগাছি এবং মহুলা মোড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। যার ফলে এদিন সন্ধে পর্যন্ত মহুলা মোড়ে গাড়ির লম্বা লাইন দেখা যায়। লালগোলার পাশাপাশি আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় কৃষ্ণপুর স্টেশনে। দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি ট্রেনে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়।


[আরও পড়ুন: পুত্রবধূ এবং নাতনি দু’জনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক সৌরভের, গড়িয়াহাটের বৃদ্ধা খুনে নয়া তথ্য]


দিনভর এই বিক্ষোভের জেরে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের তরফে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে আপাতত বেলডাঙার প্রতিটি স্কুল-কলেজে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাতিল করা হয় স্কুল-কলেজের পরীক্ষাও। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার সতর্ক করছেন বিক্ষোভকারীদের। রাজ্যজুড়ে সম্প্রীতি ও শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান তিনি। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।


আরও পড়ুন:

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ