Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা ভাইরাস

জগন্নাথদেবের স্বপ্নাদেশ! করোনা রুখতে শাঁখ বাজিয়ে তুলসিতলায় পুজো মহিলাদের

কী বলছেন বিজ্ঞানমঞ্চের সদস্যরা?

Some woman of sunderban prays to amid Coronavirus scare
Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 16, 2020 5:49 pm
  • Updated:March 16, 2020 5:49 pm

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: করোনা সংক্রমণ কীভাবে রোখা যায়, তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা। মাস্ক নাকি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করলে সুস্থ থাকা সম্ভব, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। এই পরিস্থিতিতেই করোনা ভাইরাস রোখার পথ খুঁজে নিলেন সুন্দরবনের মহিলারা। ভোররাত থেকে শুদ্ধ বস্ত্রে সাতদিন ধরে তুলসি তলায় শাঁখ বাজিয়ে পুজো দিলেই করোনা সংক্রমণ রোখা সম্ভব বলেই দাবি তাঁদের। সেই অনুযায়ী নিষ্ঠা ভরে চলছে পুজার্চনা। যদিও এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

Sundarban-Corona

Advertisement

রাতে স্বপ্নাদেশ দিয়েছেন জগন্নাথদেব। পাড়ার এক মহিলা সেই স্বপ্ন দেখেছেন ভোররাতে। স্বপ্ন দেখার পর থেকেই এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে শাঁখ বাজিয়ে তুলসি তলায় পুজো। এভাবেই সাতদিন পুজো দিতে পারলেই নাকি করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এই কুসংস্কার থেকেই সুন্দরবনের দ্বীপে দ্বীপে এখন করোনা ভাইরাস মুক্তির পথ খুঁজে পেয়েছেন মহিলারা। করোনা ভাইরাস আক্রমণের জেরে বিভিন্ন মন্দিরে ঢোকার উপর শুরু হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। দেবদেবীকে পরানো হয়েছে কাপড়ের মাস্ক। কিন্তু সেসব আমল দিতে নারাজ সুন্দরবনবাসী। গোসবা ব্লকের কুমিরমারি, সাতজেলিয়া, মোল্লাখালি, আমতলি এলাকায় এখন শাঁখের শব্দে ঘুম ভাঙছে এলাকাবাসীর। কারণ, ভোর হতেই গ্রামে গ্রামে শুরু হচ্ছে পূজার্চনা। তুলসি তলায় গোবর মাটি লেপে প্রদীপ জ্বালিয়ে সাতদিন পুজো দিলে এই করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে বলেই দাবি তাঁদের। রবিবার ভোররাতে প্রথম আমতলিতে পুজো শুরু হয়। তারপর তা ছড়ায় উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায়।

Advertisement

Corona virus

[আরও পড়ুন: ৪০০ টাকা লিটার! করোনা রুখতে এরাজ্যেও দেদার বিকোচ্ছে গোমূত্র]

রাসমণি সর্দার নামে এক মহিলা বলেন, “আমাদের বাড়ির ছেলেরা বাইরে কাজ করে। তাঁরা যাতে সেখানে ভাল থাকে সে কারণেই আমরা প্রতিদিন তুলসিতলায় পুজো দিয়ে মানত করে চলেছি। আশা করব এভাবে আমরা আমাদের পরিবারকে করোনা ভাইরাসের কবল থেকে রক্ষা করতে পারব।”

Sundarban-Corona

সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপের কয়েকশো মানুষ কাজ করেন কেরল, মুম্বই, মহারাষ্ট্র, দিল্লি-সহ ভারতের বিভিন্ন এলাকায়। ফলে সুন্দরবনের দ্বীপগুলিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আর যদি সেখানে একবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে তবে তা সামাল দেওয়া মুশকিল হওয়ার আশঙ্কাও এড়ানো যাচ্ছে না। কারণ, সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপে এখনও যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন। তাই সেক্ষেত্রে করোনা সচেতনতায় জোরকদমে চলছে প্রচার কর্মসূচি। সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়লে মারণ রোগকে সামাল দেওয়া সম্ভব বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

Sundarban-Corona

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ