Advertisement
Advertisement
South 24 Parganas

১০০ দিনের টাকা থেকে কাটমানি! অভিযুক্ত উপপ্রধানের স্বামী

মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার শ্রীচন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের টাকাতে কাটমানির অভিযোগ।

South 24 Parganas TMC Upapradhan allegedly asked for money from MNREGA scheme

নিজস্ব চিত্র

Published by: Subhankar Patra
  • Posted:March 12, 2024 5:10 pm
  • Updated:March 12, 2024 5:10 pm

সুরজিৎ দেব, দক্ষিন ২৪ পরগণা : প্রতিশ্রুতি মতো লক্ষ লক্ষ একশো দিনের কাজের প্রকল্পে জব কার্ড হোল্ডারদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রাপ্য টাকা পাঠাচ্ছে রাজ্য সরকার।  এবার সেই টাকা থেকেও ‘কাটমানি’ চাওয়ার অভিযোগ উঠল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে। 

মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার(Magrahat Paschim Assembly constituency) উস্তির শ্রীচন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা  আফসানা বিবির কাছে কাটমানি চাওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর স্বামী ইসরাফিল মোল্লার। তাঁর অভিযোগ, শ্রীচন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুমনা হালদারের স্বামী তৃণমূল নেতা অসিত হালদারের বিরুদ্ধে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: চাউমিন আনতে গিয়ে নিখোঁজ! একদিন পর উদ্ধার নাবালকের গলাকাটা দেহ, মৃত্যু ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য]

 ইসরাফিল স্থানীয় উস্তি থানায় অভিযোগ করেছেন,  স্ত্রীর  ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে  রাজ্য সরকারের পাঠানো ৩২৬৪ টাকা জমা পড়ার পরই ২ হাজার টাকা চান  উপপ্রধানের স্বামী অসিত হালদার। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর ও প্রাণে মারার হুমকি দেন অসিত। পুলিশের কাছে যথাযথ নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা  সব অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা  দাবি করেছেন, যখন ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে ছিল তিনিই শ্রমিকদের পারিশ্রমিক নিজের পকেট থেকে ধার দিয়েছিলেন। এখন রাজ্য সরকার সেই টাকা জব কার্ড হোল্ডারদের দেওয়ায় তিনি পাওনা টাকাই চেয়েছেন।এতে দুর্নীতির কিছু নেই। একইসঙ্গে   দলের স্থানীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার তিনি ও তার স্ত্রী, এমনই দাবি তাঁর।

[আরও পড়ুন: ‘চোখ উপড়ে নেব’, বাঁকুড়ায় হুঁশিয়ারি সৌমিত্রর, ‘এটাই ওর কালচার’, পালটা সুজাতার]

কাটমানি চাওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি  জব কার্ড হোল্ডার তালিকায় তাঁর এবং উপপ্রধান স্ত্রীর নাম রয়েছে বলেও অভিযোগ। পালটা ওই তৃণমূল নেতার দাবি,  তালিকা তৈরির সময় তাঁর স্ত্রী উপপ্রধান ছিলেন না। আর তিনি ছিলেন পঞ্চায়েতের একজন সাধারণ সদস্য মাত্র। তাই তখন থেকেই তাঁদের নামেও জব কার্ড রয়েছে।
এ বিষয়ে মগরাহাট পশ্চিম যুব তৃণমূল সভাপতি ইমরান হাসান বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। যদি ওই উপপ্রধানের স্বামী অন্যায় কিছু করে থাকেন তবে দল নিশ্চয়ই তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। তৃণমূল কংগ্রেস কখনওই দুর্নীতির সঙ্গে আপস করে না”।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ