রাজা দাস, বালুরঘাট: মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নানের জন্য সাজছে আর এক গঙ্গাসাগর। শুধু নামের মাহাত্ম্যেই বালুরঘাটের গঙ্গাসাগর এলাকাটি বিখ্যাত হয়েছে এলাকায় হাজার হাজার হিন্দু ধর্মাবিলম্বী মানুষের কাছে। এই এলাকার দিয়ে প্রবাহিত আত্রেয়ী নদীতে চলে মকর সংক্রান্তির পুন্যস্নান। বসে বিরাট মেলা।
[রিয়েল থেকে রিলে পদ্মশ্রী করিমুল, এবার সিনেমায় ‘অ্যাম্বুল্যান্স দাদা’]
কথায় আছে, সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার। পুণ্য অর্জনের লক্ষ্যে মকর সংক্রান্তিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরে প্রতি বছর সমাগম হয় দেশ বিদেশ থেকে আগত লক্ষ লক্ষ মানুষের। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও আর্থিক অসঙ্গতি, বয়স কিংবা অনান্য নানাবিধ সমস্যায় সেখানে গিয়ে পুন্যস্নান করা হয়ে ওঠে না বহু ধর্মপ্রাণ মানুষের। পুণ্য অর্জনের লক্ষ্যই যেন ক্রমে বিকল্প পথ বের হয়েছে। কেননা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হাজার হাজার মানুষের কাছে এই মুহূর্তে বালুরঘাটের জলঘর গ্রামপঞ্চায়েতের গঙ্গাসাগর এলাকাটি পুণ্যক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। শুধু নাম মাহাত্ম্যের কারণেই বালুরঘাটের গঙ্গাসাগর এলাকার আত্রেয়ী নদীতে স্নান করেন জেলার অসংখ্য মানুষ। মকর সংক্রান্তির এই স্নানকে কেন্দ্র করে বসে বিরাট মেলা। কয়েকদিন ধরে চলে নাম সংকীর্তন। গঙ্গাসাগর নামের এলাকাটি একটি সাধারণ গ্রাম। শুধু নামের কারণেই, প্রায় ৩৪ বছর আগে গ্রামবাসীরা সেখানে তৈরি করেন কপিল মুনির আশ্রম। প্রতি বছর মকর সংক্রান্তির দিন ধুমধাম করে পুজো হয়। শুরুর দিকে স্থানীয় এবং জেলার মানুষজন আত্রেয়ী নদীতে পুণ্যস্নান করলেও পরে তা মুখে মুখে জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। এখন জেলার বাইরে থেকেও মানুষরা আসেন। স্নান সেরে কপিল মুনি, ভগীরথ এবং গঙ্গাদেবীর মূর্তিতে পুজো দেওয়া হয়। এরপর প্রসাদ নিয়ে ফেরেন ভক্তরা।
[ভোরের মতো পড়ন্ত বিকেলেও মোহময়ী, গজলডোবা যেন স্বপ্নের ঠিকানা]
পুজো কমিটির উদ্যোগে গঙ্গাসাগরে স্নান করতে আসা ভক্তদের পাত পেরে খাওয়ানোরও ব্যবস্থা আছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের গঙ্গাসাগর পুণ্য অর্জনের জায়গা বলে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন জেলার মানুষ ও উদ্যোক্তারা। প্রতিবার বালুরঘাটের গঙ্গাসাগরে স্নান করতে যাওয়া পুণ্যার্থী স্বপন রায় ধর্মপ্রাণ মানুষ। তবে ইচ্ছে থাকলেও বয়সজনিত কারণে দক্ষিন ২৪ পরগনার বিখ্যাত গঙ্গাসাগরে যেতে পারেন না।মনের বিশ্বাসে বালুরঘাটের গঙ্গাসাগরটিকে তিনি তীর্থক্ষেত্র বলে মনে করেন। একই বিশ্বাসে ওইখানে স্নান করতে যান তাঁর মতো হাজার হাজার পুণ্যার্থী।
ছবি: রতন দে