কল্যাণ চন্দ্র, বহরমপুর: কুয়াশা কেড়ে নিল আটটি প্রাণ। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায় বেসরকারি বাস। তার ফলে বেঘোরে মৃত্যু।
[সাত সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গ-অসম]
শনিবার ভোরের দিকে নওদার আমতলা থেকে বহরমপুর আসছিল বেসরকারি বাসটি। ভোর সোওয়া পাঁচটা বেলডাঙার বেগুনবাড়ি এলাকায় নয়ানজুলিতে উলটে যায় বাসটি। যাত্রীদের থেকে জানা গিয়েছে এই সময় প্রায় প্রত্যেকেই ঘুমোচ্ছিলেন। প্রবল ঝাঁকুনি তারা একে অপরের উপর ছিটকে পড়েন। যাত্রীদের আর্তনাদ শুনতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। ঘন কুয়াশা থাকার কারণে এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। একটি ম্যাটাডরকে জায়গা দিতে গিয়ে বাসটি নয়ানজুলিতে পড়ে বলে আরও একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে। কুয়াশার এবং অন্ধকারের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে বেলডাঙা থানার পুলিশ তাতে হাত লাগায়। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে আহতদের উদ্ধার করে বেলডাঙা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মারা যান পাঁচজন। তবে ডাক্তাররা জানিয়েছেন শ্বাসরোধের কারণে বাসের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বেশ কিছু যাত্রীকে পাঠানো হয় বহরমপুরের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে। সেখানে তিন জন মারা যান। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিতে ছিলেন ষাট থেকে সত্তরজন যাত্রী। এদের মধ্যে কম-বেশি পঞ্চাশজন আহত হন। তাদের মধ্যে দশজনের অবস্থা গুরুতর। মৃতদের তালিকায় রয়েছে শিশু এবং মহিলাও। আরও কয়েকজনের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। তবে দুর্ঘটনার পর চালক বা খালাসির কোনও খোঁজ মেলেনি।
[বোতলবন্দি ১০ লাখি ‘ভূত’ বিক্রির নামে প্রতারণা, ধৃত পুলিশকর্মী-সহ ৪]
এই ঘটনায় বেলডাঙায় উত্তেজনা ছড়ায়। এর প্রতিবাদে সকাল থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার। তিনি বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলেন। স্থানীয়দের বক্তব্য, অধিকাংশ দেহ ঠিকমতো শণাক্তকরণ করা যায়নি। এই অভিযোগ বেলডাঙা থানায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। সাত সকালে এতগুলো মৃত্যুর খবরে শোকে মূহ্যমান নওদার আমতলা। কান্নার রোল উঠেছে এই জনপদে।