Advertisement
Advertisement

Breaking News

১১ লক্ষ টাকা কমিশন চেয়েছিলেন, স্বীকারোক্তি ধৃত জুহির

ঘটনায় বেপাত্তা জুহির বাবাকেও জেরা করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা৷

Startling facts emerged as CID grills BJP leader Juhi accused of Child trafficking
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 2, 2017 1:33 pm
  • Updated:March 2, 2017 1:45 pm

স্টাফ রিপোর্টার, শিলিগুড়ি: ২১ লক্ষ পাইয়ে দেওয়ার পরিবর্তে কমিশন ১১ লক্ষ টাকা! শিশু পাচার-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত চন্দনা চক্রবর্তীর কারবারে ‘সুবিধা’ পাইয়ে দিতে এই রফার কথা জেরায় স্বীকার করে নিলেন ধৃত জুহি চৌধুরি৷ রফা অনুযায়ী, সম্প্রতি চন্দনা-জুহির মধ্যে কয়েক লক্ষ টাকা লেনদেন হয় বলেও দাবি সিআইডি-র৷ রাতভর শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থানায় জুহিকে জেরা করে মিলল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ চন্দনার সঙ্গে ফিফটি-ফিফটি চুক্তিতে উত্তরবঙ্গে আরও চারটি হোম খোলার পরিকল্পনা ছিল জুহির৷ সেগুলির অনুমোদন ও তহবিল পেতে এক সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি৷ জানুয়ারির শুরুতে মধ্য কলকাতার একটি বাড়িতে ওই বৈঠক হয় বলে দাবি রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের৷

এবার বিমানেও সুস্বাদু লাগবে বিয়ার

ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ি শিশু পাচার কাণ্ডে বেশ কয়েকজন ‘প্রভাবশালী’-র হাত থাকার ইঙ্গিত পেয়েছেন সিআইডি কর্তারা৷ কিন্তু তাঁরা গোটা ঘটনায় কীভাবে জড়িত, সে সম্পর্কে আরও তথ্য-প্রমাণ পেতেই চন্দনা-জুহিকে মুখোমুখি বসিয়ে বেলা সাড়ে বারোটা থেকে জেরা শুরু হয়৷ সিআইডির দপ্তর শিলিগুড়ির পিনটেল ভিলেজে জেরা চলে৷ আগামিকালই চন্দনার সিআইডি হেফাজত শেষ হচ্ছে৷ ফলে জুহিকে তাঁর সামনে বসিয়ে জেরার সুযোগ কোনওমতেই হাতছাড়া করতে নারাজ সিআইডি কর্তারা৷ কারণ, ইতিমধ্যেই চন্দনার বয়ানে বেশ কিছু ‘প্রভাবশালী’-র নাম উঠে এসেছে৷ যাঁদের সঙ্গে যোগসূত্র ছিলেন জুহি-ই, এমনটাই দাবি করেছেন ধৃত হোমকর্ত্রী৷

Advertisement

এবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সুরক্ষিত রাখবে ‘দ্য বিস্ট’

১২ দিনের হেফাজত মিলতেই বুধবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়ির পিনটেল ভিলেজে নিয়ে আসা হয় জুহিকে৷ সেখানে কয়েক দফা জেরার পর ধৃত ওই বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় মাটিগাড়া থানায়৷ শুরু হয় দ্বিতীয় দফায় জেরা৷ চন্দনার সঙ্গে মুখোমুখি জেরা পর্ব মিটলেই প্রভাবশালী যোগের রহস্যভেদে জুহিকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারে সিআইডি৷

Advertisement

বেঙ্গালুরুতে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ বাঁকুড়ার ইঞ্জিনিয়ার

একইসঙ্গে এই শিশু পাচার কাণ্ডের শিকড় সন্ধানে বেশ কয়েকটি রাজ্যেও হানা দিতে পারেন তদন্তকারীরা৷ চন্দনাকে নিয়ে জুহির বেশ কয়েকবার নর্থ ব্লকে ঢোকার ছবি ধরা পড়েছে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজে৷ জুহির ব্যাগ থেকে তাঁর ও চন্দনার ছবি সাঁটা নর্থ ব্লকের গেট পাসও মিলেছে৷ ফলে সেখানে কাদের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন জুহি, চন্দনার কারবার চালাতে তাঁরা কী আশ্বাস দিয়েছিলেন, এখন সেসবই খতিয়ে দেখছে সিআইডি৷

ঘটনায় বেপাত্তা জুহির বাবাকেও জেরা করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা৷ প্রয়োজনে তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হতে পারে৷ কারণ জুহির বাবার বিরুদ্ধেও বেশ কিছু অকাট্য প্রমাণ ইতিমধ্যেই হাতে এসেছে বলে দাবি রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের৷ চন্দনার হোম থেকে সত্তরটির মতো শিশুকে আইন মেনে দত্তক দেওয়া হয়নি এবং বেশিরভাগ শিশুকেই মোটা টাকার বিনিময়ে পাচার করা হয়েছে বলে সিআইডি সূত্রে খবর৷ এছাড়া জানা গিয়েছে, জুহি-র সূত্র ধরে চন্দনার হোম থেকে বেশ কিছু ‘প্রভাবশালী’-র আত্মীয়ের হাতেও শিশু চলে গিয়েছে৷ সিআইডি সূত্রে খবর, চন্দনার হোমের জন্য একুশ লক্ষ টাকার কেন্দ্রীয় অনুদান ও কারবার চালাতে ‘সুবিধা’ পাইয়ে দিতে এগারো লক্ষ টাকা কমিশন চান জুহি৷ সেইমতোই ‘প্রভাবশালী’-দের সঙ্গে বৈঠকও হয়৷

একজোট ৩ আইআইটি, চালকহীন গাড়ি চলবে ভারতের রাস্তাতেও

এদিকে, চন্দনার হোমের নাম বিভ্রাটে নিজের সন্তানকে ফিরে পাওয়াই দায় হয়ে উঠেছে দলগাঁওয়ের বাসফোর দম্পতির৷ চন্দনার হোম থেকে শিশুটিকে পাচারের চেষ্টা করতেই ‘দীপালি’ নাম বদলে ‘চাঁদনি’ করে দেওয়া হয়, এমনটাই অভিযোগ৷ অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে হিলির একটি হোমে ওই শিশুটির সন্ধান মিলেছে৷ এ ঘটনায় চন্দনার হোমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই দম্পতি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ