Advertisement
Advertisement
মিড-ডে মিল

মিড-ডে মিলের পরিস্থিতি পরিদর্শনে প্রশাসনিক কর্তারা, প্রকাশ্যে প্রবল জলের সমস্যা

দ্রুতই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

Steps taken to improve education and mid day meal system in school
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:September 22, 2019 8:15 pm
  • Updated:September 22, 2019 8:15 pm

রাজ্যে একের পর এক বিভিন্ন স্কুলে মিড-ডে মিলের বেহাল দশার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। কোথাও আবার দেখা গিয়েছে নিজেদের গাঁটের কড়ি খরচ করে খুদেদের পেটভরে খাওয়াচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। কী অবস্থা রাজ্যের বাকি স্কুলগুলির? চালচিত্র দেখতে পৌঁছে গেল সংবাদ প্রতিদিন.ইন। অনিয়ম নজরে এসেছে প্রশাসনেরও। 

রাজা দাস, বালুরঘাট: রাজ্যের স্কুলগুলির মিড-ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে নেমেছিল জেলা প্রশাসন। সেখানে জেলার স্কুলগুলির প্রধান সমস্যা হিসেবে উঠে এল পানীয় জলের অভাব। টানা ১৫ দিনের কর্মসূচিতে উঠে আসা এই সমস্যা সমাধানে এবার উদ্যোগী হল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে অন্যান্য সমস্যাগুলির সমাধানের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভুলে ভরা পরিচয়পত্র সংশোধনে সমস্যা, NRC আতঙ্কে আত্মঘাতী যুবক]

বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মিড-ডে মিলের বেহাল দশার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। এরপরই পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নেমেছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, অনান্য জেলার পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও মিড-ডে মিল ব্যবস্থা নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, মিড-ডে মিলের হালহকিকত জানতে সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকেই অভিযান বা পরিদর্শন শুরু হয়। একটানা পনেরো দিনের সেই কর্মসূচিতে জেলা প্রশাসনের ৭৮ জন আধিকারিক প্রায় ২,২৪২টি প্রাথমিক স্কুল, হাই স্কুল এবং শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে-সহ মিড-ডেমিলের আওতাভুক্ত বিদ্যালয়ে যান। সেখানে পানীয় জল ও রান্নার পরিবেশ সরজমিনে খতিয়ে দেখেন।

Advertisement

পরিদর্শন শেষে আধিকারিকদের ওই রিপোর্ট নিয়ে বালুরঘাটের টাউন হল বালুছায়া ভবনে পর্যালোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে যে তথ্য উঠে আসে তাতে দেখা যায়, দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রাথমিক স্কুল ও শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে পরিশ্রুত পানীয় জলের অভাবটাই বেশি। কিছু ব্লকে মিড-ডে মিলে সরবরাহ করা চালের মানও খুবই খারাপ। একাধিক স্কুলে সীমানা পাঁচিল নেই। বহু প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়ার তুলনায় শিক্ষকের সংখ্যা অনেক কম। কোথাও আবার ঠিক উলটো। জেলা শাসক নিখিল নির্মল জানিয়েছেন, স্কুলগুলির সমস্যা নিরসনে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে। সব রকম সমস্যা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে পানীয় জলের সমস্যাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: অন্ডালের খোলামুখ খনিতে ধস ও আগুন, আতঙ্কে এলাকাবাসী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ