Advertisement
Advertisement
HS Death

উচ্চমাধ্যমিকে পাশের দাবিতে আন্দোলন করা ছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’, মালদহে চাঞ্চল্য

মালদহের এন রায় গার্লস স্কুলে পড়ত ১৭ বছরের ওই ছাত্রী।

Student allegedly took her life after failing in HS Exam | Sangbad Pratidin
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:June 18, 2022 8:49 pm
  • Updated:June 18, 2022 9:31 pm

বাবুল হক, মালদহ: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ইংরাজিতে ফেল করেছিল। তারপর পাশের দাবিতে বিক্ষোভও দেখিয়েছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এরপরই গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ১৭ বছরের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের হাবিবপুর থানার ডুবাপাড়া এলাকায়।

উচ্চমাধ্যমিকে (HS Examination) অকৃতকার্য হওয়ায় রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করে ব্যর্থ পরীক্ষার্থীরা। দাবি একটাই, “আমরা ফেল করতে পারি না। পাশ করাতে হবে।” রাজ্যজুড়ে চলতে থাকা এই বিক্ষোভের জেরে পরীক্ষার খাতা রিভিউয়ের নিয়মে বড় পরিবর্তন আনার পথে হাঁটে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এবিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারিও করা হয়। যেখানে বলা হয়, পরীক্ষার্থীরা ২০ জুন থেকে খাতা রিভিউ বা স্ক্রুটিনির আবেদন করতে পারবে। আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত গৃহীত হবে আবেদনপত্র। রিভিউ বা স্ক্রুটিনির আবেদন করা যাবে শুধুমাত্র অনলাইনে।

Advertisement

HS-Death-1

Advertisement

[আরও পড়ুন: ছোবল মেরে পায়েই আটকে ছিল কেউটে, শিশুকে নতুন জীবন ফিরিয়ে দিল জঙ্গিপুর হাসপাতাল]

এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের মধ্যে নাম ছিল শম্পা হালদার নামের এই ছাত্রীর। স্থানীয় আর এন রায় গার্লস স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল সে। জানা গিয়েছে, এবার মালদহের এই স্কুল থেকে মোট ১৮০ জন পরীক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। যার মধ্যে ৮০ জন পাশ করে। বাকিরা সকলেই কোনও না কোনও বিষয়ে ফেল করে।

রেজাল্ট পাওয়ার পরই মালদহের শিক্ষা দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় অকৃতকার্য পড়ুয়ারা। এদের মধ্যেই ছিল শম্পা। এই ঘটনার পর শনিবার তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। শম্পার বাবা কুশি হালদারের দাবি, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল করার জন্যই তাঁর মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জেলার অতিরিক্ত সুপার শাহ অমিত কুমার জানান, প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান করা হচ্ছে পরীক্ষায় পাশ না করতে পেরেই আত্মহত্যা করেছে শম্পা হালদার। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

[আরও পড়ুন: রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত ২৮৮, ফের সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ