BREAKING NEWS

৭ চৈত্র  ১৪২৯  বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

বই খুলে পরীক্ষা, ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক

Published by: Sucheta Sengupta |    Posted: March 9, 2019 8:30 pm|    Updated: March 9, 2019 8:30 pm

Students capture video in the examination hall

সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: মোবাইল নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ, বই দেখে উত্তর লেখা এবং তা মোবাইলে ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা। একইসঙ্গে এতগুলো কাণ্ডের জেরে কাঠগড়ায় ঝাড়গ্রামের একটি স্কুল। জানা গিয়েছে, বুধবার একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইলে সেই ভিডিও করে একদল ছাত্র। অভিযোগ, সেই ভিডিওটি আবার ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে। বিষয়টি নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুরু করেছে তদন্ত। অভিযুক্ত ছাত্রদের একজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ছাত্রদের অপরাধ প্রমাণিত হলে তাদের পরীক্ষা বাতিল করা হবে।

[কালিয়াগঞ্জে শিক্ষকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার, শুরু তদন্ত]

ঝাড়গ্রাম শহরের কুমুদ কুমারী ইনস্টিটিউশন। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ৬ তারিখ একাদশ শ্রেণির কম্পিউটার সায়েন্সের লিখিত পরীক্ষা ছিল। ৯ মার্চ ফেসবুকে আপলোড হওয়া একটি  ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পরীক্ষার দিন কয়েকজন ছাত্র বই খুলে পরীক্ষা দিচ্ছে। ভিডিওটি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ঘটনা ঘিরে শহরে শিক্ষামহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্কুলশিক্ষা দপ্তরের নতুন নিয়ম অনুযায়ী একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা উচ্চশিক্ষা সংসদের আওতায় হয়। গত বুধবার কেকে ইনস্টিটিউশনে কম্পিউটার সায়েন্সের থিওরি পরীক্ষা ছিল। বোর্ড থেকেই প্রশ্নপত্র আসে।তবে বিদ্যালয়ের শিক্ষকারাই পরীক্ষায় গার্ড দিচ্ছিলেন। পরীক্ষার হলে সাধারণভাবে মোবাইল নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ। কিন্তু তা সত্ত্বেও চেকিংয়ের ফাঁক গলে কীভাবে ছাত্ররা পরীক্ষার কক্ষে মোবাইল নিয়ে ঢুকল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেইসঙ্গে পরীক্ষা চলাকালীন কীভাবে তারা নজরদারি এড়িয়ে বই খুলে উত্তর লিখল এবং তা ভিডিও করল, তা নিয়েও থাকছে হাজার প্রশ্নচিহ্ন।

[মমতাবালা নাকি অমলা, কে হবেন মতুয়া মহাসংঘের প্রধান উপদেষ্টা? শান্তনুর ঘোষণায় বিতর্ক]

এই বিষয়ে কেকে ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক অবশ্য কিছুটা গা ছাড়া মনোভাবই দেখালেন। প্রধান শিক্ষক অনুপ কুমার দে বলেন, “ আমরা এক ছাত্রকে চিহ্নত করতে পেরেছি। তার সঙ্গে কথা বলেছি। মনে হচ্ছে, কিছু একটা গন্ডগোল হয়েছে। বাকি ছাত্রদের সঙ্গে ওই ছাত্রটিকে বসিয়ে জিঞ্জাসাবাদ করা হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল আনা নিষিদ্ধ। বোর্ডের পরীক্ষা ছিল। অভিযোগ প্রমান হলে ওই ছাত্রদের পরীক্ষা বাতিল করা হবে।” এর আগেও এধরনের ঘটনা ঘিরে একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এমনকী প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন ফাঁসে নজিরবিহীন রেকর্ড গড়েছে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। তারপর একাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় ঝাড়গ্রাম স্কুলের এমন ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।

ছবি: প্রতিম মৈত্র

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে