Advertisement
Advertisement

Breaking News

পরিবার থেকে দূরে, জওয়ানদের ভাইফোঁটা দিলেন পড়ুয়া বোনেরা

অভিনব উদ্যোগ।

Students celebrates Bhai Dooj with Jawans
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:November 9, 2018 9:16 pm
  • Updated:November 9, 2018 9:16 pm

নিজস্ব সংবাদদাতা, তেহট্ট: দুর্গাপুজো, দীপাবলি থেকে নববর্ষ, তাঁদের কাছে সবদিনই একইরকম। কারণ উৎসবে যখন গা ভাসায় গোটা দেশ তখন সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হয়ে দেশরক্ষা করেন তাঁরা। ঝড়-ঝঞ্ঝা থেকে উৎসব-পার্বন, দেশরক্ষার কাজেই নিয়োজিত তাঁদের প্রাণ। আর সে কাজের জন্য বছরের বিশেষ দিনগুলিতেও পরিবার-পরিজনদের থেকে দূরেই থাকতে হয় তাঁদের। বাড়িতে বোন ভাইফোঁটা দেওয়ার অপেক্ষায় থাকলেও সীমান্তের কাঁটাতারে বেঁধে রাখে তাঁদের। সেই সব জওয়ানদের জন্য এবার ভাইফোঁটার বিশেষ আয়োজন করল বেতাইয়ের একটি সংস্থা।

[মিষ্টি-লুচি খাইয়ে কাটোয়া স্টেশনের ১৮ কুলিকে ভাইফোঁটা যুবতীদের]

শুক্রবার দুপুরে কলেজ পড়ুয়া এবং সদ্য কলেজ পাশ করে বেরনো ছাত্রীদের নিয়ে ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয় নদিয়ার ভাটুপাড়া, নফরচন্দ্রপুরে ক্যাম্পে। সীমান্তে কর্মরত জওয়ানদের মঙ্গল কামনা করে তাঁদের ফোঁটা দিলেন। কাজ থেকে সাময়িক বিরতি নিয়ে ভাইফোঁটায় শামিল হয়ে আপ্লুত জওয়ানরাও। খানিকক্ষণের জন্য হলেও পরিবারের সান্নিধ্যই যেন পেয়েছিলেন তাঁরা। উৎসব উপভোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার কষ্ট অনেকটাই দূর হল তাঁদের। ভাতৃদ্বিতীয়ায় ফোঁটা দেওয়ার পাশাপাশি বোনেরা মিষ্টিমুখও করিয়ে দেন জওয়ানদের। জওয়ান ভাইরা সাধ্যমতো উপহার কেনার জন্য বোনেদের হাতে তুলে দিলেন অর্থ। সব মিলিয়ে বাড়ি থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে থেকেও ভালই কাটল জওয়ানদের দিনটা।

Advertisement

[‘পরমান্ন ভাইফোঁটা থালি’ প্যাকেজে মজে বর্ধমান]

নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ২২২ কিমি বিস্তৃত। এর মধ্যে কাঁটাতার রয়েছে ১৯৪.৩ কিমি। নদী এলাকার কাঁটাতার ৪ কিলোমিটার বিস্তৃত। জেলায় অরক্ষিত এলাকা রয়েছে ২৩.৭ কিমি। এর মধ্যে তেহট্ট মহকুমা এলাকাতে প্রায় সাড়ে আট কিমি এলাকা কাঁটাতারহীন। গোটা দেশের মতো এই এলাকাতেও জওয়ানরা সদা সতর্ক থাকেন।

Advertisement

৮৪ ব্যাটেলিয়নের ভাটুপাড়ার ইনচার্জ যশপাল সিং এদিন বলছিলেন, “নফরচন্দ্রপুর ও ভাটুপাড়া ক্যাম্প-এ ৩০ জন জওয়ানকে ভাইফোঁটা দেওয়ানোর আয়োজন করেছিল বেতাইয়ের একটি সংস্থা। আমাদের খুব ভাল লেগেছে। এসব আয়োজনই দেশের কাজে আমাদের উৎসাহিত করে।” এমন মহত কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে খুশি বোনেরাও। বলেন, “জওয়ানরা দেশের জন্য নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে দিনের পর দিন সীমান্তে পড়ে থাকেন। তাঁদের জন্য এটুকু করতে পারায় ভাল লাগছে।” তেহট্টর আই সি বীরেন্দ্র পাঠক বলেন, এ ধরনের অনুষ্ঠান যত করা যাবে তত কাজে উৎসাহ বাড়বে। নিঃসন্দেহে একটা ভাল উদ্যোগ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ