অলংকরণ: সুলগ্না ঘোষ।
দেবব্রত দাস, খাতড়া: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পাশে স্যাঁতস্যাঁতে পাঁচিলে বেশ সাদা-সাদা ছত্রাক গজিয়েছিল। বাঁকুড়ায় (Bankura) স্থানীয় ভাষায় তা ‘ছাতু’ বলে পরিচিত। তা দেখে আনন্দে ডগমগ করে উঠেছিল ছাত্ররা। সেই ছত্রাক তুলে নিজেরাই রান্নার আয়োজন করে তারা। বেশ পিকনিকের মতো করে তা রান্না করে খাওয়াও হয়। কিন্তু তার পরই দেখা দেয় বিপত্তি। একে একে ১১ জন ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের প্রথমে গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় স্থানান্তরিত করা হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আপাতত সকলের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। তবে ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। মনে করা হচ্ছে, ছত্রাকের (Mashroom) বিষক্রিয়াতেই অসুস্থ হয়েছে ছাত্ররা।
শুক্রবার রাইপুরের (Raipur) মামুড়ায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পাশেই খেলছিল কয়েকজন ছাত্র। তাদের সকলের বয়স ১০ থেকে ১২ বছর। তাদের নজরে পড়ে, বৃষ্টিভেজা দেওয়ালে ছত্রাক গজিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সেসব তুলে নেয় তারা। ঠিক করে, ওই ছত্রাক দিয়ে পিকনিক করবে। সেইমতো কাঠ জোগাড় করে উনুন জ্বালিয়ে ছত্রাক ভেজে আনন্দ করে খেয়ে নেয় তারা। কিন্তু তার পর থেকেই শুরু হয় সমস্যা। পেটব্যথা, বমিতে কাবু হয়ে যায় তারা। বাড়ির লোকজন তা দেখে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে। পরে সুস্থ হয়ে ওঠায় ৮ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনের চিকিৎসা চলছে এখনও।
এনিয়ে অজয় সর্দার নামে এক অভিভাবকের বক্তব্য, ”ছোট ছেলেরা খেলতে খেলতে জমি থেকে ছাতু তুলে নিয়েছিল। তার পর তারা নিজেরাই রান্না করে খায়। এই ছাতুতে বিষক্রিয়া (Food contamination) হয়েছে বলে মনে হয়। যদিও তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় বড় বিপদ হয়নি।” রাইপুরের বিডিও (BDO) হীরক বিশ্বাস জানিয়েছেন, ”ছাত্ররা নিজেরা ছত্রাক তুলে রান্না করে খেয়েছিল। তার পর অসুস্থ হয়। আমি অসুস্থতার খবর পেয়ে গ্রামে যাই। ওদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন তারা ভালো আছে। বিপদ কেটে গিয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.