নন্দন দত্ত, বোলপুর: পড়ুয়াদের আন্দোলনে ফের উত্তপ্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্যের পদত্যাগ, শিক্ষার পরিবেশ ফেরানো-সহ একাধিক দাবিতে অশান্ত বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের।নিরাপত্তারক্ষী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পড়ুয়াদের দাবি, বেশ কয়েকজন রক্তাক্তও হন।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অভিযোগ, গত পাঁচ বছর ধরে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন উপাচার্য। যাকে খুশি তাকে সাসপেন্ড করা, শোকজ করা, বদলি করা, কোনও কর্মীর বেতন বন্ধ করে দেওয়া যেন রোজনামচায় পরিণত করেছেন। বাদ যাননি পড়ুয়ারাও। উপাচার্যের রোষের শিকার হয়েছেন তাঁরাও। কাউকে হস্টেল থেক বহিষ্কার, তো কাউকে সাসপেন্ড করে শিক্ষাঙ্গন থেকে বাইরে রাখা হয়েছে। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার তাঁর অফিসের সামনে যান পড়ুয়ারা।
উপাচার্যের নির্দেশে নিরাপত্তারক্ষীরা পড়ুয়াদের দিকে কার্যত ধেয়ে আসেন। পড়ুয়ারাও তাদের দাবি জানাতে নাছোড়বান্দা। উপাচার্য নিরাপত্তারক্ষীদের পড়ুয়াদের উপর ‘গুলি চালানো’রও নিদান দেন বলেই অভিযোগ। এরপর পড়ুয়ারা আরও রেগে যান। উপাচার্যকে ঘিরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, পড়ুয়াদের অবস্থান হঠাতে উপাচার্য বহিরাগতদের কাজে লাগান। যা ঘিরে দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ, হাতাহাতি হয়। তাতে চোট পান দুই পড়ুয়া।
বিশ্বভারতীর পড়ুয়া সোমনাথ সৌ জানিয়েছেন, ”আমরা ১০ দিন আগেই জানিয়েছিলাম দাবি সনদ পেশে কথা। কর্মসচিবের কাছে তা পেশ করতে বলা হয়েছিল। সাতদিন আগে তা জমা দিয়েছিলাম। সাতদিনের মধ্যে উত্তর চেয়েছিলাম। কিন্তু তা না মেলায় বুধবার উপাচার্যের কাছে আসা। আমরা আসতেই উপাচার্য নিরাপত্তারক্ষীদের আমাদের দিকে এগিয়ে দেন। এমনকি আমাদের উপর গুলি চালাতে বলেছেন।” আন্দোলনে শামিল পড়ুয়া শুভ নাথ জানিয়েছেন, ”আমাদের অবস্থান বানচাল করতে উপাচার্য তৃণমূল নেতা রাজীব ঝাঁর নেতৃত্বে বহিরাগতদের দিয়ে আমাদের মারধর করেছে।” স্বাভাবিকভাবেই পড়ুয়াদের আন্দোলনে বিশ্বভারতীতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.