ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম ছাত্রদের উপর হামলার ঘটনায় এক ছাত্রনেতাকে গ্রেপ্তার করল শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। সুলভ কর্মকার নামে ওই ছাত্রকে রবিবার ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে পেশ করা হতে পারে। এর আগে সাবির আলি এবং অচিন্ত্য বাগদিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সুলভ গ্রেপ্তার হওয়ায় এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তিনজনই পুলিশের জালে এল।
গত ১৫ তারিখ রাতের অন্ধকারে বহিরাগতদের নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যাভবন ছাত্রাবাসে ঢুকে হামলার অভিযোগ ওঠে টিএমসিপির বিরুদ্ধে। দু’পক্ষের হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। স্বপ্ননীল মুখোপাধ্যায় এবং ফাল্গুনী পান নামে দুই ছাত্র আহত হন। তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পিয়ারসন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতাল ঘিরে থাকে তাঁরা। অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে ‘বহিরাগত‘ সাবির আলি এবং টিএমসিপি সদস্য অচিন্ত্য বাগদি, সুলভ কর্মকারের নাম।
[আরও পড়ুন: ৩০ টাকায় ফিরল ভাগ্য, লটারি কেটে রাতারাতি কোটিপতি রংমিস্ত্রি]
তবে অভিযুক্তদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে ধন্দ দেখা দেয়। বাম ছাত্র সংগঠন অভিযোগ করে যে হামলাকারীরা এবিভিপি-র সদস্য। এই অভিযোগ খারিজ করে অচিন্ত্য বাগদি নামে ছাত্র নেতা সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে নিজেকে বরাবর তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের সদস্য বলে দাবি করেছে। অন্যদিকে, জেলা তৃণমূল অচিন্ত্যকে নিজেদের সদস্য বলে মানতে অস্বীকার করেছে।
তাহলে টিএমসিপির আড়ালে এবিভিপিই কি আসলে হামলাকারী? এই প্রশ্নও ওঠে। তদন্তে নেমে ঘটনার পরেরদিন বিকেলেই পুলিশ অচিন্ত্য বাগদি এবং সাবির আলিকে গ্রেপ্তার করে। পলাতক ছিল সুলভ কর্মকার। সে বিদ্যাভবন হস্টেলেরই আবাসিক। রবিবার তাকে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা থেকে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বিশ্বভারতীর মত কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কড়া নিরাপত্তার বেড়াজাল টপকে কীভাবে বহিরাগতরা ঢুকল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই উপাচার্য নিরাপত্তার জন্য সিআইএসএফ জওয়ান চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেন। সেই আবেদনে এখনও সাড়া মেলেনি বলেই বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।