দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: সারা দেশ যখন জন্মাষ্টমী উৎসবে মেতে উঠেছে, তখন ‘অষ্টনাগ’কে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চুঁচুড়ার পালবাড়িতে। সকাল থেকেই সেই ‘অষ্টনাগ’কে দেখতে দলে দলে ভিড় জমিয়েছেন প্রতিবেশীরা। মজার বিষয় হল এখানে ‘অষ্টনাগ’ কোনও সাপের ফণা নয়। এটি একটি আটমাথা বিশিষ্ট কুমড়োর ডগা। এমন অদ্ভুত দর্শন কুমড়োর ডগা দর্শনে জন্মাষ্টমীর দিন পালবাড়িতে তিলধারনের জায়গা নেই। দর্শনে আসা প্রত্যেকেই আটমাথা বিশিষ্ট কুমড়োর ডগাকে দেবতা মেনে ষাষ্টাঙ্গে প্রণাম সারছেন। হইহই রব পড়ে গিয়েছে পালবাড়িতে।
এহেন ঘটনাকে ভগবানের কৃপা ছাড়া অন্য কিছউ বলতে নারাজ পাল দম্পতি। বাড়ির কর্তা গোপাল পাল ও তাঁর স্ত্রী শীলা পাল জানান, বেশ কিছুদিন হল কুমড়ো গাছটি ধীরে ধীরে গজিয়ে উঠছিল। দিন দুয়েক আগে আচমকাই বড় বড় পাতা বেরিয়ে তরতরি ছাদে উঠল সরস ডগা। রবিবার সকালে ছাদে উঠে যা দেখলেন, তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। পাল দম্পতির এখনও বিস্ময়ের ঘোর কাটছে না। তাঁরা দেখেন, কুমড়ো গাছের ডগা যেন আটমাথা বিশিষ্ট নাগের রূপ ধারণ করেছে।
[শিশুকন্যাকে মারধরের প্রতিবাদের মাশুল, সালিশি সভায় আক্রান্ত বৃদ্ধ]
কথিত আছে কংসের হাত থেকে কৃষ্ণকে বাঁচানোর জন্য বাসুদেব তাঁকে মথুরা থেকে গোকুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। যাত্রাপথে প্রবল বর্ষণ শুরু হলে শ্রীকৃষ্ণকে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে আটমাথা বিশিষ্ট নাগ তার মাথার উপর ফণা মেলে ধরে। জন্মাষ্টমীর পুণ্যলগ্নে পালবাড়ির কুমড়ো গাছের কান্ডও যেন সেই ‘অষ্টনাগে’র ফণার আকার ধারণ করেছে। শীলা দেবী ও পরিবারের অন্যান্যদের মতে এ ভগবানের কৃপা। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাড়িতে সেভাবে পুজোর আয়োজন করা হয়নি। তাই মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে আসেন পালবাড়ির সদস্যরা। তবে এলাকাবাসী কিন্তু এই ‘অষ্টনাগ’কেই দেবতা রূপে ভক্তি করতে শুরু করেছেন।