Advertisement
Advertisement
কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়

কীসের ভিত্তিতে দেওয়া হবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বাতিল পরীক্ষার নম্বর? জানাল শিক্ষা দপ্তর

ফলপ্রকাশের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর।

System for announcement of college students result revealed

ছবি: প্রতীকী

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 28, 2020 11:15 am
  • Updated:June 28, 2020 4:57 pm

দীপঙ্কর মণ্ডল: করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে উচ্চমাধ্যমিকের পর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় পরীক্ষাও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া যে সম্ভব নয়, শনিবারই তা ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই রাজ্যের অগণিত কলেজ পড়ুয়া উদ্বেগে আছেন, কীসের ভিত্তিতে তাঁদের ফলপ্রকাশ করা হবে, তা নিয়ে। এ নিয়ে শনিবারই রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপারিশ পাঠিয়ে দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। যাতে ফলপ্রকাশের পদ্ধতি বলা হয়েছে।

সুপারিশে বলা হয়েছে, স্নাতক স্তরের (UG) পরীক্ষার্থীদের ফাইনাল সেমিস্টারের নম্বর ঠিক করা হবে দুই পর্যায়ে। বিগত ৫টি সেমিস্টারের মধ্যে যে সেমিস্টারে ওই পড়ুয়া সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন, সেই সেমিস্টারের নম্বরের ভিত্তিতে শেষ সেমিস্টারের ৮০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে। বাকি ২০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের ভিত্তিতে। তার আগের সমস্ত সেমিস্টারের (প্রথম থেকে পঞ্চম) পরীক্ষার্থীদের নম্বরের কোনও মূল্যায়ন হবে না। কোনও পরীক্ষা না দিয়েই পরের সেমিস্টারে পড়ার সুযোগ পাবেন তাঁরা। একইভাবে স্নাতকোত্তর (PG) পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও শেষ সেমিস্টারের নম্বরের ৮০ শতাংশ দেওয়া হবে আগের ৩ সেমিস্টারের মধ্যে যে সেমিস্টারে পরীক্ষার্থী সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন, তার ভিত্তিতে। বাকি ২০ শতাংশ দেওয়া হবে ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের ভিত্তিতে। তবে কোনও পড়ুয়া যদি নিজের প্রাপ্ত নম্বরে সন্তুষ্ট না হন। তাহলে তিনি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই তাঁর পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে তার আগেই অন্য বছরের মতো ভরতি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। শিক্ষা দপ্তর বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সব ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কীভাবে দেওয়া হবে উচ্চমাধ্যমিকের বাতিল পরীক্ষার নম্বর, জানিয়ে দিল পর্ষদ]

ক্রমাগত করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং লকডাউনের জেরে ব্যপকভাবে প্রভাবিত শিক্ষাক্ষেত্র। দীর্ঘদিন বন্ধ স্কুল-কলেজ। অনলাইনে কোথাও কোথাও ক্লাস হয়েছে বটে, কিন্তু পরিকাঠামোর অভাবে ধর্তব্যের মধ্যে আসেনি সেই ব্যবস্থা। দিন দিন সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে স্কুল-কলেজ খোলার কোনও সম্ভাবনা নেই। পরীক্ষা নেওয়াটাও ঝুঁকিপূর্ণ। তাই অনিচ্ছা সত্বেও উচ্চমাধ্যমিকে এবং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর (Department of Higher Education)। এই পরিস্থিতিতে ফলপ্রকাশের জন্য এই বিকল্প ব্যবস্থার কথাই ভাবা হয়েছে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ