Advertisement
Advertisement

Breaking News

Tapan Kandu Murder

তপন কান্দু খুনে অভিযুক্তর জেলেই মৃত্যু, চাঞ্চল্য পুরুলিয়ায়

তপন কান্দু খুনের তদন্তে সিবিআইয়ের হাতে প্রথম ধৃতের মৃত্যু।

Tapan Kandu Murder: Under trial prisoner died in Purulia Jail | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:November 12, 2023 3:18 pm
  • Updated:November 12, 2023 4:09 pm

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ফের চর্চায় তপন কান্দু (Tapan Kandu) হত্যাকাণ্ড! রবিবার জেলেই মৃত্যু হল এই মামলার বিচারাধীন এক বন্দির। নাম সত্যবান প্রামাণিক। তপন কান্দু খুনের ঘটনায় গত বছর এপ্রিল মাসে সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি।

পুরুলিয়া জেলা সংশোধনাগার সূত্রে খবর, গ্রেপ্তারির পরই তৃণমূল নেতা সত্যবানের ডায়াবেটিস ধরা পড়েছিল। দেবেন মাহাতো গর্ভনমেন্ট হাসপাতালে তাঁর ডায়াবেটিসের চিকিৎসা চলত। বেশ কয়েকবার সত্যবানকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গত জানুয়ারি মাসে দিন কয়েক হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন তিনি। রবিবার সকালে প্রাতঃকর্ম সেরে এসে নিজের জামাকাপড় গোছাচ্ছিলেন সত্যবান প্রামানিক। আচমকাই অসুস্থ হয়ে খাটে বসে পড়েন। এর পরই ওয়ার্ড থেকে তাঁকে পুরুলিয়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে এদিন সত্যবানের ময়নাতদন্ত করা হবে না বলেই জানিয়েছে পুরুলিয়া জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারণ, সিবিআই আধিকারিকরা এদিন এসে পৌঁছয়নি। সোমবার যাবেন তাঁরা। সিবিআইয়ের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হবে। পুরো বিষয়টি ভিডিওগ্রাফি করা হবে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: কালীপুজোর সকালেই প্রয়াত কলকাতার তৃণমূল কাউন্সিলর]

উল্লেখ্য, সত্যবান প্রামাণিকের আদি বাড়ি ঝালদার ১ নম্বর ব্লকের হেঁসাহাতু গ্রামে। তবে তিনি থাকতেন ঝালদা শহরের হাটতলায়। পেশায় ছিলেন সরকারি হাই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণিক কর্মী। এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হয়েছিলেন সত্যবানের স্ত্রী বিমলা প্রামানিক। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তপন কান্দু হত্যা তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর  ২০২২ সালে ১৩ এপ্রিল সত্যবানকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। 

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৩ মার্চ খুন হয়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সেই ঘটনা এখনও পর্যন্ত মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সত্যবানের মৃত্যুর পর বিচারাধীন বন্দির সংখ্যা দাঁড়াল ৬। পুরুলিয়া জেলা আদালতে মামলা চলছে। তবে এখনও চূড়ান্ত চার্জশিট জমা করতে পারেনি সিবিআই। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা করেছে। 

[আরও পড়ুন: গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে পুরসভায় উত্তরণ! পূরণের পথে বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের আশা]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ