Advertisement
Advertisement

Breaking News

ক্লাসে অমনোযোগী, শিক্ষকের বেধড়ক মারে হাসপাতালে ছাত্রী

পরে ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।

Teacher allegedly beat up student in Nadia's Gangnapur

ছবি:‌ প্রতীকী

Published by: Bishakha Pal
  • Posted:September 17, 2019 8:36 pm
  • Updated:September 17, 2019 8:57 pm

বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর:  স্কুলের ক্লাস চলাকালীন  ক্লাসের প্রতি মনোযোগ না দিয়ে ছবি আঁকছিল চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রী।  আর সেই ‘অপরাধেই’ ওই ছাত্রীকে বেতের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মারধরের জেরে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছে ওই ছাত্রীকে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার গাংনাপুর থানার আইশমালির  ইউনাইটেড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর বাড়ির লোকজন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাদের মেয়েকে মারধর করার অভিযোগ দায়ের করে পুলিশের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রহৃত ওই ছাত্রীর বাড়ি গাংনাপুর থানার আইশমালি। আইশমালি ইউনাইটেড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে সে।  গত সোমবার সে স্কুলে গিয়েছিল। ওই ছাত্রীর মা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, “আমার মেয়ে সোমবার স্কুলে গিয়েছিল। ওই দিন দুপুর তিনটে নাগাদ স্কুলের মধ্যে ছবি আঁকাকে কেন্দ্র করে ওই স্কুলের  শিক্ষক নির্মল মণ্ডল আমার মেয়েকে বেত দিয়ে প্রচণ্ড মারধর করেন। মারধরের জেরে তার পিঠে রক্ত জমাট  বেঁধে যায়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লাগে। যন্ত্রণায় ও চিৎকার করলে ওকে আরও মারা হয়।” 

Advertisement

[ আরও পড়ুন: টাকার বিনিময়ে সবুজসাথীর সাইকেল বিলি! প্রশ্ন করতেই মারমুখী প্রধান শিক্ষক ]

বিষয়টি তাঁরা পুলিশকে মৌখিকভাবে জানান। পুলিশ গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে আনে। তাকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ছাত্রীর হাতের আঙুলে ও কলার বোনে  আঘাত লেগেছে। তবে মারধরের বিষয়টি  কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন শিক্ষক নির্মল মণ্ডল। তা নিয়ে যে তিনি রীতিমতো অনুতপ্ত, তাও জানিয়েছেন। নির্মল মণ্ডলের বক্তব্য, “রবিবার আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যালেন্ট সার্চ পরীক্ষা হয়েছিল। সোমবার যথারীতি ক্লাস হয়েছে স্কুলে। আমি তখন ক্লাস নিচ্ছিলাম। বেলা ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ ওই ছাত্রী ক্লাসের দিকে মনোযোগ না দিয়ে নিজের মনে ছবি আঁকছিল। এর আগেও দু’দিনও একই ঘটনা ঘটিয়েছে ও। তৃতীয় দিনও ওই কাজ করতে দেখে আমি কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়ি। লাঠি দিয়ে ওকে দু-চার ঘা মেরেছিলাম। এর বেশি কিছু নয়। পরে জানতে পারি ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। আমি মঙ্গলবার ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে দেখতেও গিয়েছিলাম। একটা ভুল হয়েছে। আমি বিষয়টা নিয়ে অনুতপ্ত।”

Advertisement

[ আরও পড়ুন: আরও বিপাকে রাজীব কুমার, আগাম জামিনের আরজি ফেরাল বারাসত আদালত ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ